বিশ্ব অ্যাথলেটিকসের প্রিলিমিনারি রাউন্ডে আলো ছড়িয়েছেন বাংলাদেশের স্প্রিন্টার ইমরানুর রহমান। কিন্তু তারপরও তিনি খুশি নন নিজের পারফরম্যান্সে। ইমরানুর নিজে মনে করেন, তাঁর আরও ভালো করা উচিত ছিল।
১০০ মিটার স্প্রিন্টে প্রিলিমিনারি হিটে দুর্দান্ত দৌড়েছেন বাংলাদেশের দ্রুততম মানব। যদিও নিজের সেরা টাইমিং ১০.২৫ থেকে পিছিয়েই ছিলেন। সময় নিয়েছেন ১০.৫০ সেকেন্ড। কাল রাতে হিটে অবশ্য ১০.৪১ সেকেন্ড সময় নিয়ে সেমিফাইনালে উঠতে পারেননি। কিন্তু লড়াই করেছেন হাড্ডাহাড্ডি। ইমরানুরের আক্ষেপটা এখানেই, প্রাথমিক রাউন্ডের চেয়ে ভালো টাইমিং করেও সেমিতে ওঠা হলো না তাঁর।
হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে চলছে বিশ্ব অ্যাথলেটিকসের আসর। সেমিফাইনালে উঠতে ৬ নম্বর হিটে দৌড়েছিলেন ইমরানুর। নিজের হিটে হয়েছেন সপ্তম। হিটে তাঁর পাশের লেনেই ছিলেন টোকিও অলিম্পিকে ১০০ মিটার স্প্রিন্টের সোনাজয়ী লামন্ত মার্চেল ইয়াকবস। ৬ নম্বর হিটে প্রথম হওয়া জাপানের আবদুল হাকিম সানি ব্রাউন সময় নিয়েছেন ১০.০৭ সেকেন্ড। দ্বিতীয় জ্যামাইকার ওয়াটসন (১০.১১ সেকেন্ড), তৃতীয় হয়েছেন অলিম্পিকে ১০০ মিটার স্প্রিন্টের সোনাজয়ী ইয়াকবস। তাঁর টাইমিং ১০.১৫ সেকেন্ড। অলিম্পিক সোনাজয়ীর পাশের ট্র্যাকেই দৌঁড়েছেন ইমরানুর। টাইমিংয়ের ভিত্তিতে হিটে ৫৫ জনের মধ্যে ৪৫তম হয়েছেন তিনি।
বিশ্ব অ্যাথলেটিকসে নিজেকে আরও ওপরের দিকে দেখতে চেয়েছিলেন ইমরানুর। আজ প্রথম আলোকে বুদাপেস্ট থেকে হোয়াটসঅ্যাপে তিনি নিজের অতৃপ্তির কথা জানিয়েছেন, ‘সত্যি বলতে কী আমি বিশ্ব অ্যাথলেটিকসে নিজের পারফরম্যান্সে খুব একটা খুশি নই। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রত্যাশা আরও বেশি ছিল। তাই সন্তুষ্ট হতে পারছি না। আমি মনে করি, ব্যক্তিগতভাবে আমি আরও ভালো করতে পারি। সেই সামর্থ্য আমার আছে।’
সামনেই এশিয়ান গেমস। চীনের হাংজুতে এশিয়াডে নিজের টাইমিংটা আরও ভালো করতে চান। সেই ‘ভালো’টা অবশ্যই গত জুলাইয়ে এশিয়ান অ্যাথলেটিকসে নিজের গড়া টাইমিংয়ের চেয়ে ভালো কিছু, ‘আমি অবশ্যই আরও ভালো টাইমিং করতে চাই। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে যা করেছি, তার চেয়ে ভালো কিছু। এশিয়ান গেমসে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে একই মানের প্রতিযোগীদের পাব।’
জুলাইয়ে এশিয়ান অ্যাথলেটিকসে সেমিফাইনালে উঠেছিলেন ইমরানুর। অল্পের জন্য ফাইনালে উঠতে পারেননি। ব্যাংককে নিজের তৃতীয় হিটে সময় নিয়েছিলেন ১০.৪০ সেকেন্ড। হয়েছিলেন ১১তম। সেমিফাইনালে ওঠার হিটে তাঁর টাইমিং ছিল ১০.২৫ সেকেন্ড।
ইমরানুর এখন আবার ইংল্যান্ডে ফিরে যাবেন। সেখানেই এশিয়ান গেমসের প্রস্তুতি চালিয়ে যাবেন। নিজেই জানালেন, কোচের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন। এশিয়ান গেমসে দেশকে ভালো কিছুই উপহার দিতে চান দেশের দ্রুততম মানব, ‘ইংল্যান্ডে ফিরে গিয়ে আমি এখন অনুশীলনে মনোযোগ দেব। নিজের পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাব। কোচের সঙ্গে কথা বলব, তিনি আমাকে বলে দেবেন, কী করণীয়। কোন কোন জায়গায় আরও পরিশ্রম করতে হবে।’