ক্রীড়া উপদেষ্টার মনে হচ্ছে, তাঁকে দুর্নীতির মহাসাগরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াটিভি থেকে নেওয়া ছবি

এক মাসের বেশি সময় হলো দায়িত্ব নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। দেশের ক্রীড়াঙ্গন সম্পর্কে ধারণা নিতে নিতেই কেটেছে এই সময়। এরই মধ্যে নিয়েছেন বেশ কিছু উদ্যোগও। দেশের সব ক্রীড়া ফেডারেশনে বইছে পরিবর্তনের হাওয়া। দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা-উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহী কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দেশের ৪৫টি ক্রীড়া ফেডারেশনের সভাপতিদের অব্যাবহতি দেওয়া হয়েছে। নতুন করে ক্রীড়া ফেডারেশন সাজাতে তৈরি হয়েছে সার্চ কমিটি।

উপদেষ্টা হিসেবে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন আসিফ মাহমুদ। তবে আজ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম মার্কেটের দোকান বরাদ্দ নিয়ে রীতিমতো হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে, আমাকে নিয়ে কেউ দুর্নীতির মহাসাগরে ছেড়ে দিয়েছে।’

ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আজ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম মার্কেটের দোকান বরাদ্দের বিষয়গুলো সরেজমিনে দেখতে গিয়েছিলেন
ছবি: ক্রীড়া উপদেষ্টার ফেসবুক

এরপর আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, ‘আজ এনএসসির অধীনে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের দোকান পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। ২০-২২ টাকা/বর্গফুট হিসেবে এনএসসির কাছে ভাড়া গেলেও সরেজমিন গিয়ে জানতে পারলাম, দোকানগুলো ১৭০-২২০ টাকা/বর্গফুট করে ভাড়া দিচ্ছে। বিশাল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে সরকার। অর্থাভাবে ফেডারেশন চলছে না, টুর্নামেন্ট হয় না, মাঠের সংস্কার হয় না। অথচ বছরের পর বছর এভাবেই হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি গেছে।’

দোকান বরাদ্দে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা–কর্মচারি
এনএসসি ফেসবুক পেজ

পদাধিকারবলে ক্রীড়া উপদেষ্টা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যানও। ক্রীড়া পরিষদই স্টেডিয়াম মার্কেটের দোকানগুলো বরাদ্দ দিয়ে থাকে। সেই দোকানের ভাড়া থেকেই বড় আয় হয় ক্রীড়া পরিষদের। কিন্তু ক্রীড়া উপদেষ্টা আজ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম মার্কেটের দোকান ঘুরে আবিষ্কার করেন, সেখানে ক্রীড়া পরিষদ দোকানগুলো থেকে কাগজেপত্রে ২০-২২ টাকা প্রতি বর্গফুট হিসেবে ভাড়া পেলেও আসলে দোকানিরা প্রতি বর্গফুটে ভাড়া গোনেন ১৭০ থেকে ২২০ টাকা। এতে করে ক্রীড়া পরিষদ ও দেশের ক্রীড়াঙ্গন যে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর এটি হচ্ছে ক্রীড়া পরিষদের অসাধু কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণেই।

দোকানমালিকদের দেওয়া বাড়তি অর্থ কীভাবে অসাধু কর্মকর্তারা হাতিয়ে নিচ্ছেন, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। একই সঙ্গে দোকান বরাদ্দে প্রতি বর্গফুট ২০-২২ টাকা হারে ভাড়ার চুক্তি বদলের কথা জানিয়েছেন তিনি।