শ্রীলঙ্কায় খেলতে অনুমতি পেলেন না জিমিরা, ইউরোপে খেলার আমন্ত্রণেও হকি ফেডারেশনের সাড়া নেই
আগামী ৬ সেপ্টেম্বর শুরু শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলতে বাংলাদেশ থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন তিনজন হকি খেলোয়াড়। আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে তিন চেনা মুখ রাসেল মাহমুদ জিমি, ফরহাদ আহমেদ শিতুল ও খোরশেদুর রহমানকে শ্রীলঙ্কায় খেলতে দিতে হকি ফেডারেশনের কোনো আপত্তি ছিল না। তবে তিন খেলোয়াড় অনুমতি পাননি তাঁদের নিজ সংস্থা বাংলাদেশ নৌবাহিনী থেকে। ফলে সুযোগ এলেও তাঁদের শ্রীলঙ্কায় খেলা হচ্ছে না।
হকি ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক আরিফুল হক (প্রিন্স) এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘এই তিন খেলোয়াড়ের শ্রীলঙ্কায় খেলার আমন্ত্রণের ব্যাপারে আমরা বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা বলেছে, দেশের পরিস্থিতি ভালো নয়। এ অবস্থায় তাদের ছাড়বে না।’
ওদিকে ইউরোপিয়ান ঘরোয়া হকি লিগে খেলতে বাংলাদেশ থেকে ১২ জন খেলোয়াড় আমন্ত্রণ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন আরিফুল হক। এর মধ্যে জার্মানির ক্লাব থেকে ৬ জন, স্পেন ও হল্যান্ডের ক্লাব থেকে ৩ জন করে। আমন্ত্রণ পাওয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম রাসেল মাহমুদ, রেজাউল করিম, সোহানুর রহমান, নাইম উদ্দিন, বিপ্লব কুজুর, শুভ আল নাহিন, আবেদ উদ্দিন।
বাংলাদেশের জার্মান কোচ পিটার গেরহার্ড এসব আমন্ত্রণ জোগাড় করে পাঠিয়েছেন খেলোয়াড়দের জন্য। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশের হকি খেলোয়াড়েরা ইউরোপে খেলার প্রথম সুযোগ পায় ২০০৯ সালে। মাঝখানে বন্ধ থাকার পর ২০১৬ সালে আবারও ইউরোপের হকিতে খেলেছিলেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা। ২০১৮ সালের পর এবার ফের পিটারের উদ্যোগে আবারও সুযোগটা এসেছে। কিন্তু ইউরোপের ক্লাবে খেলার অনুমতিও এখন পর্যন্ত পাননি খেলোয়াড়েরা।
এ প্রসঙ্গে আরিফুল হক বলেছেন, ‘ইউরোপে ১২ খেলোয়াড়ের আমন্ত্রণের বিষয়টা ফেডারেশনের নীতিনির্ধারক মহলে জানিয়েছি। কিন্তু আমাকে বিষয়টা নিয়ে সামনে না এগোতে বলা হয়েছে। তবে আমি মনে করি, অনুমতি দেওয়া উচিত। কেননা, খেলোয়াড়দের কোনো খরচ লাগবে না। বরং খেলে টাকা পাবে। তা ছাড়া সিনিয়রদের সামনে কোনো খেলাও নেই। সফরে কোনো কর্মকর্তা যাওয়ার দরকার নেই, এমনটাও বলেছি। তবু চাইছি খেলোয়াড়েরা যাক। আমি মনে করি, ওরা না যেতে পারলে ভবিষ্যতে আর আমন্ত্রণ পাবে না।’
উল্লেখ্য, এ মাসেই জাতীয় হকি দলের জার্মানি যাওয়ার কথা ছিল দুই মাসের ক্যাম্প করার জন্য। কিন্তু সেই সফরে হকির সঙ্গে সম্পর্কহীন বিতর্কিত যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে ম্যানেজার করা হয়েছিল। ফলে সফরটি বাতিল করা হয় ৫ আগস্ট সরকার বদলের পর। সেই সফরে দলনেতা হয়েছিলেন হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আরেক বিতর্কিত যুবলীগ নেতা মমিনুল হক সাঈদ। দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর মমিনুল এখন পলাতক।