২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

বিমানবন্দরে ফুলেল সংবর্ধনায় মুগ্ধ ইমরানুর

বিমানবন্দরে অভিনন্দনে সিক্ত হন ইমরানুরছবি: প্রথম আলো

কেউ আনলেন ফুলের মালা। কারও হাতে মিষ্টি। এক ফাঁকে জাতীয় পতাকা জড়িয়ে দেওয়া হলো ইমরানুর রহমানের গায়ে। হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জের সামনে যেন মুহূর্তেই সবটুকু আলো কেড়ে নিলেন বাংলাদেশের দ্রুততম মানব।

আরও পড়ুন

কাজাখস্তানে এশিয়ান ইনডোরের ৬০ মিটারে সোনাজয়ী ইমরানুর গতকাল সকালের ফ্লাইটে দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কাজাখস্তান থেকে বিলম্বে বিমান ছাড়ার কারণে সকালের নির্ধারিত ফ্লাইট ধরতে পারেননি। যে কারণে দুবাই বিমানবন্দরে তাঁকে প্রায় ১১ ঘণ্টা বসে কাটাতে হয়েছে। এরপর গতকাল রাত সাড়ে আটটায় নামেন ঢাকা বিমানবন্দরে।

ইমরানুরকে বরণ করতে আয়োজনের কমতি রাখেনি বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। ফুলেল সংবর্ধনায় মুগ্ধ ইমরানুর এমন আয়োজন দেখে বেশ অবাকই হয়েছেন, ‘আসলে এখানে এত আয়োজন হবে আমি ভাবিনি। আমি সত্যি অবাক হয়েছি সবার এমন ভালোবাসা দেখে। আমি সম্মানিত বোধ করছি।’

বাংলাদেশের দ্রুততম মানবী শিরিন আক্তারও বিমানবন্দরে ইমরানুরকে বরণ করতে গিয়েছিলেন
ছবি: প্রথম আলো

ইমরানুরকে বরণ করতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন দেশের দ্রুততম মানবী শিরিন আক্তার। ইমরানের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন তিনিও, ‘ইমরানুর সোনা জেতায় দেশে-বিদেশে আমার অনেক বন্ধু, পরিচিত কোচ প্রচুর অভিনন্দন জানাচ্ছে। এটা আসলে অসাধারণ অনুভূতি। ইমরানুরের সাফল্য আমাকেও অনুপ্রাণিত করবে। ইমরানুর যেভাবে দেশকে উপস্থাপন করছে আমরাও যেন এই রাস্তায় হাটতে পারি। বিশেষ করে নিজেকে ভেঙে নতুন করে গড়ার চেষ্টা করব আমি।’

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

ইমরানুরের ছোঁয়ায় নতুন করে জেগে উঠবে বাংলাদেশের রুগ্ণ অ্যাথলেটিকস। এমনটাই মনে করেন বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব, ‘অবশ্যই এই সাফল্যের ছোঁয়া পড়বে অ্যাথলেটিকসে। ইমরানুর শুধু বাংলাদেশের পতাকাকে উদ্ভাসিত করতে আসেনি, সে মাটির টানে, মা-বাবার জন্মস্থানকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেখতে চায়। ইমরানুর হবে আমাদের ভবিষ্যতের মডেল। ওকে দেখে নতুন করে স্বপ্ন দেখবে অ্যাথলেটরা, আশা করি ঘরে ঘরে তৈরি হবে ইমরানুর।’

ইমরানুরকে বরণ করতে বিমানবন্দরে আয়োজন করেছিল অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন
ছবি: প্রথম আলো

পুরো আয়োজনের মধ্যে দৃষ্টিকটু ছিল বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ কর্মকর্তা এএসপি রনির আচরণ। তিনি একরকম জোর করেই ইমরানুরকে গাড়িতে তুলে দেন এবং সবাইকে দ্রুত বিমানবন্দর ছাড়তে বলেন। পুলিশ কর্মকর্তার এমন আচরণে আবদুর রকিব প্রতিবাদ করায় শেষ পর্যন্ত সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে তবেই সবাই বিমানবন্দর ছেড়ে যান।