শুটিং ফেডারেশন মহাসচিবের অপসারণ চান সাবেক শুটাররা

সংবাদ সম্মেলনে সাবেক শুটার ও সংগঠকেরাপ্রথম আলো

ছাত্র–জনতার গণ–অভ্যুত্থানের মুখে সরকার পতনের পর অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে শুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনে অনুশীলন ক্যাম্প নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক শুটার ও সংগঠকেরা। একই সঙ্গে দ্রুততম সময়ে শুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের বর্তমান কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন অ্যাডহক কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) কার্যালয়ে ‘ক্রীড়াপ্রেমী ও শুটিং সংগঠক’–এর ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলেছেন তাঁরা। সংবাদ সম্মেলনে সাফ গেমসে স্বর্ণপদকজয়ী শুটার সাইফুল ইসলাম, সাবরিনা সুলতানা, জি এম হায়দারসহ আরও বেশ কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান শুটার এবং সংগঠক উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

কমনওয়েলথ শুটিং ও সাফ গেমসে স্বর্ণপদকজয়ী শুটার সাবরিনা সুলতানা বলেছেন, ‘আমরা রাজনীতিমুক্ত ক্রীড়াঙ্গন চাই। সেই সঙ্গে খেলোয়াড়েরা যেন শঙ্কাহীন পরিবেশে অনুশীলন ও পারফর্ম করতে পারে, সেটি চাই। একই সঙ্গে চাই দুর্নীতিমুক্ত ক্রীড়াঙ্গন।’

সাবরিনা শুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের বর্তমান মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদের পদত্যাগ ও অপসারণের দাবি করেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারের দুর্নীতিবাজ দোসর ইন্তেখাবুল হামিদ ১০ বছর ধরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তাঁর স্বেচ্ছাচারিতা একসময়ের সম্ভাবনাময় খেলা শুটিংকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। এই মহাসচিব শুটিং ফেডারেশনকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করেছে। আমরা তাঁর অপসারণ চাই।’

বর্তমান মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদের পদত্যাগ দাবি করেন সাবেক শুটার ও সংগঠকেরা
প্রথম আলো

সাবেক শুটার জি এম হায়দার বলেন, ‘৫ আগস্ট সরকার পতনের পর দেশে স্বাভাবিকভাবেই একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ভালো নয়। এমন একটা পরিস্থিতিতে শুটিং ফেডারেশন কীভাবে অনুশীলন ক্যাম্প চালায়? তাদের উদ্দেশ্য আর কিছুই নয়, যেনতেন প্রকারে শুটিং ফেডারেশনের দখল রাখা। মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ এখন পলাতক। তবে এই মহাসচিব বিদেশে বসে ভিডিও কলের মাধ্যমে শুটিং ফেডারেশন চালাচ্ছে।’

আরও পড়ুন

সাফ গেমসে একাধিক স্বর্ণপদকজয়ী শুটার ও জাতীয় কোচ সাইফুল ইসলামের অভিযোগ বিগত সরকারের আমলে শুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা দেশের শুটিংয়ে ভিত্তি ভেঙে চুরমার করে দিয়েছেন, ‘এই কমিটির আমলে শুটিং চলছে কয়েকটি সার্ভিসেস দল নিয়ে। অথচ বিভিন্ন জেলায় যে শুটিং ক্লাবগুলো ছিল, সেগুলো বিগত ১৫ বছরে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। এই ক্লাবগুলো ছিল দেশের শুটিংয়ের পাইপলাইন। এখন দেশে শুটিং চলছে হাতে গোনা কয়েকজন শুটার নিয়ে।’