তুরস্কে পদক জেতা হলো না ইমরানুরের
অনেক নাটকীয়তার পর ইসলামিক সলিডারিটি গেমসের ১০০ মিটার স্প্রিন্টের ফাইনালে ওঠেন ইমরানুর রহমান। এই ইভেন্টে অন্তত একটা পদক জয়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলাদেশের দ্রুততম মানব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পদক জেতা হলো না ইমরানুরের। ফাইনালে তিনি আটজনের মধ্যে হয়েছেন ষষ্ঠ। ফাইনালে ইমরানুর সময় নেন ১০.১৭ সেকেন্ড।
পদক জিততে অবশ্য ১০ সেকেন্ডের কমে দৌড় শেষ করতে হতো তাঁকে। ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে দ্রুততম মানব হয়েছেন আইভরি কোস্টের আর্থার সিসে। তিনি সময় নেন ৯.৮৯ সেকেন্ড। প্রথম থেকে চতুর্থ পর্যন্ত সবাই টাইমিং করেছেন ৯ সেকেন্ডের ঘরে।
গতকাল হিটে নিজের ক্যারিয়ার সেরা টাইমিং ১০.০১ সেকেন্ড দৌড়েছিলেন লন্ডনপ্রবাসী ২৯ বছর বয়সের এই স্প্রিন্টার। আজ সেমিফাইনালে তিনি সময় নিয়েছেন ১০.০৬ সেকেন্ড।
তবে ইমরানুরের সৌভাগ্যই বলতে হবে ফাইনালে ওঠাটা। আজ সেমিফাইনালে প্রথমবার ইমরানুর দৌড়ালেও শুরুতে জটিলতা দেখা দিয়েছিল ওই হিটে। ফলস স্টার্টের কারণে দুই দফা বাঁশি বাজিয়ে খেলা থামিয়ে দেন বিচারকেরা। তৃতীয় দফায় দৌড় শেষ করলেও আয়োজকেরা আবারও দৌড় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেবার ইমরানুর দৌড়েছিলেন ১০.২২ সেকেন্ড। ওই হিটে যদি কেউ ফলস স্টার্ট না করতেন তাহলে হয়তো সুযোগই মিলত না ইমরানুরের নতুন করে দৌড়ানোর। শেষ পর্যন্ত আবারও সুযোগ পেয়ে টাইমিং কমিয়ে দৌড়ে পৌঁছে গেলেন ফাইনালে। কিন্তু একই ইভেন্টে অন্তত চারবার দৌড়াতে হয়েছে তাকে, বাংলাদেশের একজন স্প্রিন্টারের জন্য বেশ কঠিনই যেটা।
ইমরানুর জানুয়ারিতে ঢাকায় জাতীয় অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে ১০.৫০ সেকেন্ড দৌড়ে ২২ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভেঙেছিলেন। এরপর মার্চে বেলগ্রেডে বিশ্ব ইনডোর অ্যাথলেটিকসে ৬০ মিটারে দৌড়ালেন ৬.৬৪ সেকেন্ডে। সেবার পৌঁছে যান ওই প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে। এরপর থেকেই মূলত তাকে নিয়ে আশাবাদী হয়ে ওঠেন ফেডারেশন কর্মকর্তারা। এবারের ইসলামিক সলিডারিটি গেমসেও এবার ইমরানুরকে নিয়ে পদক জেতার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন।
ইমরানুর ১৬ জুলাই ওরিগনে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে দৌড়েছিলেন ১০.৪৭ সেকেন্ডে। হিটের প্রিলিমিনারি রাউন্ড থেকে ওঠেন চূড়ান্ত পর্বের হিটে। চোটে পড়ে অবশ্য এরপর হিটে দৌড়াননি। সর্বশেষ বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে দৌড়ালেন ১০.৪৬ সেকেন্ডে। টাইমিং নিয়ে হতাশায় থাকা ইমরানুর এরপর গতকাল তুরস্কে দৌড়েছেন ১০.০১ সেকেন্ডে। বাংলাদেশের কোনো স্প্রিন্টারের এমন টাইমিংয়ে দৌড়ানো অবিশ্বাস্যই বটে।