শেখ হাসিনার সরকার বিদায় নিয়েছে ৫ আগস্ট। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়ে ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারে উদ্যোগ নিয়েছে। সংস্কারের সুপারিশ করতে ৩০ আগস্ট যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় পাঁচ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেছিল। সেই কমিটির সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ বুলবুলকে আজ অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জগদীশ চন্দ্র দেবনাথ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ‘জনস্বার্থে নির্দেশক্রমে’ অব্যাহতি প্রদানের কথা বলা হয়।
১৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন তরফদার রুহুল আমিন। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহিউদ্দিন আহমেদ। যিনি বিএনপিপন্থী ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদের মহাসচিব। এর দুই-তিন দিন পরই তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন বিসিবির কয়েকজন সাবেক পরিচালককে নিয়ে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় মনে করে মহিউদ্দিন আহমেদের এসব কর্মকাণ্ডে তাঁর নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ ব্যাপারে তিন দিনের মধ্যে উত্তর চেয়ে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় মন্ত্রণালয়। মহিউদ্দিন আহমেদ উত্তরও দিয়েছেন। তবে তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে মহিউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘একজন সংগঠক হিসেবে সারা দেশে আমার অনেক বন্ধু আছে। তারা আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছে বলেই বাফুফের নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী ঘোষণা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। আর বিসিবির সভাপতির সঙ্গে দেখা করে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছি, ধন্যবাদ দিয়েছি। মতবিনিময় করেছি। আর কিছু নয়।’
মহিউদ্দিন আহমেদকে অব্যাহতির পর সার্চ কমিটি এখন চার সদস্যের। কমিটির আহ্বায়ক সাবেক জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন জোবায়েদুর রহমান। সদস্য সাবেক হকি খেলোয়াড় মেজর (অব.) ইমরোজ আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি ও ক্রীড়া সাংবাদিক আজাদ মজুমদার ও সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক এম এম কায়সার।