সর্বশেষ এশিয়া কাপ হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে, বাংলাদেশ সেটিতে খেলেছিল ফাইনালে। যদিও সেটি ছিল ওয়ানডে সংস্করণে। এশিয়া কাপের সর্বশেষ চার আসরের তিনটিতেই ফাইনালে ওঠা বাংলাদেশ এবার অবশ্য যাচ্ছে প্রত্যাশার সীমা বেশ নিচে রেখেই। টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এ টুর্নামেন্ট খেলতে আজ বিকেলে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ দল।
তবে দলের সঙ্গে যেতে পারেননি দুজন ক্রিকেটার—তাসকিন আহমেদ ও এনামুল হক। জানা গেছে, ভিসা আসতে দেরি হওয়াতেই সাকিব আল হাসানদের সঙ্গী হতে পারেননি আজ। যেতে পারেননি দলের অন্য একজন সদস্যও। তবে আগামীকালই দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা তাঁদের।
প্রাথমিকভাবে ১৭ জনের দল ঘোষণা করা হলেও টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ছিটকে গেছেন দুজন। আঙুলের অস্ত্রোপচার করিয়ে আসা উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান নুরুল হাসানের সেরে উঠতে সময় লাগবে আরও। লিগামেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া পেসার হাসান মাহমুদের সেরে উঠতে লাগবে অন্তত তিন সপ্তাহ। এ দুজনের বদলে বিসিবি দলে ডেকেছে একজনকেই—ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। ‘এ’ দলের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ফেরার পথে দুবাইয়ে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা আছে তাঁর।
২০১৬ সালে সর্বশেষ যেবার টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হয়েছিল এশিয়া কাপ, মিরপুরে ভারতের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার গ্রুপ ‘বি’তে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। দুটি গ্রুপ থেকে দুটি করে দল উঠবে সুপার ফোরে।
গতবারের ফাইনাল খেলা বাংলাদেশ দলের লক্ষ্য কী, গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন করা হলে নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব বলেন, ‘সুপার ফোরে খেলা উচিত। তবে প্রতিবারই লক্ষ্য নিয়ে যাই বড়, সেটি অর্জন করতে পারি না। আপনারাই তখন বলা শুরু করেন, বড় বড় কথা বলে গেলাম, গিয়ে কাজটা করতে পারলাম না। আমাদের লক্ষ্য-পরিকল্পনা আমাদের কাছেই থাক। ড্রেসিংরুমে আমরা জানি কীভাবে করব। আমার মনে হয় না, এগুলো এত বলার দরকার আছে।’ আজ দেশ ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদও বলেছেন, ম্যাচ ধরে ধরেই এগোতে চান তাঁরা।
২৫ আগস্ট দুবাইয়ে এশিয়া কাপের আনুষ্ঠানিক অনুশীলন শুরু করার কথা বাংলাদেশের। ৩০ আগস্ট আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ সাকিবের দলের। এ টুর্নামেন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান কোচ হিসেবে কাউকে নিয়ে যাচ্ছে না বাংলাদেশ। রাসেল ডমিঙ্গোকে টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, নিয়োগ দেওয়া হয়েছে টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরামকে।