অ্যাশেজ উত্তেজনায় বৃষ্টির হানা

বৃষ্টিতে আজ তৃতীয় দিনের প্রায় দুই সেশন ভেসে গেছেছবি: রয়টার্স

উসমান খাজা আর অ্যালেক্স ক্যারি অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ষষ্ঠ উইকেটে ১১৮ রানের জুটি গড়েছিলেন এ দুজন। খাজা সেঞ্চুরি করলেও ক্যারি ৬৬ রানের বেশি করতে পারেননি। যে জুটিতে অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে করা ৩৯৩ রানকে ছাপিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা জাগিয়েছিল, সেটি ভেঙেছেন জেমস অ্যান্ডারসন। ক্যারিয়ারের দশম অ্যাশেজ সিরিজে অ্যান্ডারসনের তাঁর প্রথম উইকেটটি তুলে নিলেন। এই উইকেটে একুশ শতকের প্রথম বোলার হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১১০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন ৪০ বছর বয়সী অ্যান্ডারসন।

এজবাস্টনে মাঠকর্মীদের তৎপরতা
ছবি: রয়টার্স

খাজা ১৪১ রান করে ওলি রবিনসনের শিকার হয়েছেন। যদিও অধিনায়ক প্যাট কামিন্স তাঁকে কিছুটা সঙ্গ দিয়েছেন। করেছেন ৩৮ রান। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া শেষ তিন উইকেট হারিয়েছে খুব দ্রুতই। শেষ পর্যন্ত ৭ রানে পিছিয়ে থেকে ৩৮৬ রানে শেষ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। ৭ রানের লিড নেওয়া ইংল্যান্ড বৃষ্টি-বিঘ্নিত দিনটা স্বস্তি নিয়ে শেষ করতে পারেনি । প্রথমবার বৃষ্টি এসে থামানোর আগে ৬.৫ ওভারে বিনা উইকেটে ২৬ রান তুলে ফেলেছিল ইংলিশরা। তবে বৃষ্টি-বিরতি শেষে আবার খেলা শুরু হতেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। আবার যখন বৃষ্টি এসে খেলা থামাল, ১০.৩ ওভারে ২ উইকেটে ২৮ রান ইংল্যান্ডের। ফিরে গেছেন জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট। অস্ট্রেলীয় ফাস্ট বোলাররা এই সময় সুইং বোলিংয়ে বেশ পরীক্ষায় ফেলেছিলেন ইংলিশদের। একটি করে উইকেট নিয়েছেন কামিন্স ও স্কট বোল্যান্ড। এরপর তৃতীয় দিনের খেলা আর মাঠেই গড়াতে দেয়নি।

আরও পড়ুন
দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই ২ উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড। একটি উইকেট স্কট বোল্যান্ডের
ছবি: রয়টার্স

ইংল্যান্ডের থেকে ৮২ রান পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। খাজা ১২৬ ও ক্যারি ৫২ রানে ব্যাট করছিলেন। তৃতীয় দিনের শুরুতে আত্মবিশ্বাসী হয়েই খেলছিলেন দুই অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান। অ্যান্ডারসন, ক্রলি, ব্রডরা তাদের খুব সমস্যায় ফেলতে পারছিলেন না। অ্যান্ডারসনের বলে অবশ্য ক্যারিকে জীবনও দিয়েছেন উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টো। প্রথম ঘণ্টায় আর কোনো সমস্যার মধ্যে পড়েনি অস্ট্রেলিয়া।

আরও পড়ুন
একুশ শতকের প্রথম বোলার হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১১০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন ৪০ বছর বয়সী অ্যান্ডারসন
ছবি: রয়টার্স

অ্যান্ডারসনের বলে ক্যারি বোল্ড হতেই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। বেন স্টোকস এ সময় অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানদের ওপর ভালোই চাপ সৃষ্টি করেন ফিল্ডিংয়ের অভিনবত্ব দিয়ে। ব্যাটসম্যানকে ঘিরে ছয়জন ফিল্ডার দাঁড় করিয়ে দেন। কিন্তু বাউন্সার দেননি কোনো বোলার। উল্টো রবিনসনের ইয়র্কারে এগিয়ে গিয়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান খাজা।

আরও পড়ুন
উসমান খাজা খেলেছেন ১৪১ রানের ইনিংস
ছবি: রয়টার্স

লেজের ব্যাটসম্যানদের শর্ট বল দিয়েছেন ইংলিশ বোলাররা। তুলে মারতে গিয়ে আউট হলেন শেষ তিন ব্যাটসম্যান—নাথান লায়ন, বোল্যান্ড ও অধিনায়ক কামিন্স। মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক আগেই ৩৮৬ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ব্রড ও রবিনসন ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। মঈন আলী ২টি আর স্টোকস ও অ্যান্ডারসন পেয়েছেন ১টি করে উইকেট।