সময়টা একদমই ভালো কাটছিল না গ্যাব্রিয়েল জেসুসের। এই মৌসুমে আগের ২০ ম্যাচে ছিল একটিমাত্র গোল, সর্বশেষ ৮ ম্যাচে ছিল না একটিও।
সেই জেসুস এবার পেয়ে গেলেন হ্যাটট্রিক, যা আর্সেনালের হয়ে তাঁর প্রথম। জেসুসের একক নৈপুণ্যেই গত রাতে ক্রিস্টাল প্যালেসকে ৩–২ গোলে হারিয়ে ইংলিশ লিগ কাপের (কারাবাও কাপ নামে পরিচিত) সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে আর্সেনাল।
শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল ও কখনোই চ্যাম্পিয়ন হতে না পারা নিউক্যাসল ইউনাইটেড। সাউদাম্পটনের মাঠে লিভারপুলের জয় ২–১ গোলে, নিউক্যাসল ব্রেন্টফোর্ডকে হারিয়েছে ৩–১ গোলে। আজ রাতে চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে টটেনহাম ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এই ম্যাচ জয়ী দল শেষ দল হিসেবে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেবে।
নিজেদের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে আগের ম্যাচে প্রিমিয়ার লিগে ধুঁকতে থাকা এভারটনের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছিল আর্সেনাল। লন্ডনের দলটির ওপর তাই সমর্থকেরা কিছুটা মনঃক্ষুণ্ন ছিলেন।
কাল ম্যাচের শুরুতে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টাল প্যালেস গানারদের বিপদ আরও বাড়ায়। ৪ মিনিটেই গোল করে প্যালেসকে এগিয়ে দেন জ্যঁ–ফিলিপ মাতেতা। এরপর গ্যালারি থেকে আসতে থাকে একের পর এক দুয়োধ্বনি, যা চলতে থাকে বিরতির আগপর্যন্ত। কারণ, ১–০ গোলে পিছিয়ে থেকেই যে বিরতিতে যেতে হয় আর্সেনালকে।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের মোড় একাই ঘুরিয়ে দেন জেসুস। ৫৪, ৭৩ ও ৮১ মিনিটে গোল করে আর্সেনালকে এগিয়ে দেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ইংলিশ ফুটবলে তিনি সর্বশেষ হ্যাটট্রিক করেছিলেন ২০২২ সালে প্রিমিয়ার লিগে। তবে তা ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে। ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিতে তিনি জাল কাঁপিয়েছিলেন চারবার।
জেসুসের হ্যাটট্রিকের পর ৮৫ মিনিটে ব্যবধান ৩–২ করে ফেলে প্যালেস। গোল করেন এ মৌসুমেই আর্সেনাল ছেড়ে প্যালেসে যোগ দেওয়া এডি এনকেটিয়া। দক্ষিণ লন্ডনের ক্লাবটিকে এরপর আর ম্যাচে ফিরতে দেয়নি আর্সেনাল।
ম্যাচ শেষে জেসুস বলেছেন, ‘মাঝেমধ্যে গোল–খরা নিয়ে আমাকে সমস্যায় পড়তে হয়। নিজেকে ভালো অবস্থানে নিতে আমি অনুশীলনে ফিনিশিং নিয়ে কাজ করছি। আমার মনে হয়, এটা (গত রাতের হ্যাটট্রিক) কঠিন পরিশ্রমের প্রতিফলন।’
এদিকে সাউদাম্পটনের মাঠে প্রথমার্ধেই লিভারপুলকে দুই গোলে এগিয়ে দেন দারউইন নুনিয়েজ ও হার্ভি এলিয়ট। ৫৯ মিনিটে ক্যামেরন আর্চারের গোলে সাউদাম্পটন ব্যবধান কমালেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি। আর্নে স্লটের অধীন ২৪ ম্যাচে এটি লিভারপুলের ২০তম জয়।
অন্য ম্যাচে ঘরের মাঠ সেন্ট জেমস পার্কে প্রথমার্ধেই জোড়া গোল করেন নিউক্যাসলের ইতালিয়ান মিডফিল্ডার সান্দ্রো তোনালি। বিরতির পর ফাবিয়ান শার ব্যবধান ৩–০ করেন। যোগ করা সময়ে সান্ত্বনাসূচক গোল পায় ব্রেন্টফোর্ড।