‘এমন তো না যে বেঞ্চে মেসি বসে আছে আর আমরা ফালতু খেলোয়াড় খেলাচ্ছি’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা কী? সম্ভবত মিডল অর্ডারের ব্যাটিং। এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর যা নিয়ে খুব আলোচনা শুরু হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেটে। সেই আলোচনা আরও জোরালো হয়েছে সম্প্রতি ইংল্যান্ডের কাছে ৭ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৪-৩ ব্যবধানে হারের পর।

বিশ্বকাপেও মিডল অর্ডারের ব্যাটিং পাকিস্তানকে ভোগাতে পারে, এ ভাবনা থেকে দেশটির সাবেক খেলোয়াড়দের অনেকেই বলছেন, শোয়েব মালিকের মতো অভিজ্ঞ কাউকে বিশ্বকাপ দলে রাখা উচিত ছিল। তবে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি মালিক কিংবা হাফিজের।

বিশ্বকাপে মিডল অর্ডারে ইফতিখার আহমেদ ও খুশদিল শাহর উপর আস্থা রেখেছে পাকিস্তান
এএফপি

এ নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) নির্বাচকদের কাঠগড়ায় তুলেছেন দেশটির সাবেকদের অনেকে। পিসিবির চেয়ারম্যান রমিজ রাজা ও অধিনায়ক বাবর আজমের পছন্দের খেলোয়াড়দের নিয়ে দল গড়া হয়েছে, এটাও বলছেন কেউ কেউ। অবশেষে এ সমালোচনার জবাব দিয়েছেন রমিজ নিজেই।

আরও পড়ুন

পাকিস্তানের জিও নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রমিজ বলেছেন, ‘ক্রিকেট ও ভালো দল নিয়ে আমার যে দর্শন, তার প্রথমটি হচ্ছে দল নির্বাচনে ধারাবাহিক হতে হবে। দুই. অধিনায়কের হাত শক্তিশালী করতে হবে (যাতে যথেষ্ট বিকল্প থাকে তাঁর হাতে)। এমন তো না যে আমাদের বেঞ্চে মেসি বসে আছে আর আমরা ফালতু খেলোয়াড় খেলাচ্ছি। আমাদের হাতে খুব বেশি বিকল্প নেই।’


বিশ্বকাপে পাকিস্তানের মিডল অর্ডার-লোয়ার অর্ডারে খেলবেন শাদাব খান, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নওয়াজ, হায়দার আলী, ইফতিখার আহমেদ, আসিফ আলীরা। এর মধ্যে শাদাব খান ছাড়া অন্য কেউ গত এক বছরে টি-টোয়েন্টিতে ১৪০-এর বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করতে পারেননি। ওদিকে পাকিস্তানের হয়ে সর্বশেষ দুই বছরে যে ৫টা ম্যাচ খেলেছেন, সেখানে তাঁর স্ট্রাইক রেট ১৭২.৪১। দলে ব্রাত্য হয়ে পড়া মালিক এশিয়া কাপের ফাইনালের পর আক্ষেপে টুইট করেছিলেন, ‘কবে আমরা বন্ধুত্ব আর পছন্দ-অপছন্দের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারব।’

পাকিস্তান দলে এখন ব্রাত্য শোয়েব মালিক
এএফপি

এর আগে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরই রমিজ রাজা বলেছিলেন, মোহাম্মদ হাফিজ আর শোয়েব মালিকের অবসর নেওয়া উচিত। রমিজ তখনো পিসিবির চেয়ারম্যান হননি। তখন থেকেই মালিককে রমিজের পছন্দ নয়, এটা পাকিস্তানের ক্রিকেটে অনেকের ধারণা।

এখন সরাসরি নাম না বললেও শোয়েব মালিকের যে আর পাকিস্তান দলে ফেরার সম্ভাবনা নেই, তা–ও বোঝা গেছে জিও টিভিতে সাক্ষাৎকারে রমিজের কথায়, ‘আমাদের বিকল্প বাড়াতে এবং প্রতিভাবানদের খুঁজে বের করার জন্য জুনিয়র পর্যায়ে কাজ করছি আমরা। হয়তো এখন কোথাও আমরা সফল হচ্ছি, কোথাও ব্যর্থ। কিন্তু আমার দর্শন হচ্ছে, অধিনায়কের হাত শক্তিশালী করা, যাতে তাঁর কাছে যথেষ্ট বিকল্প থাকে।’