'এমএসএন' নয় 'আরইএম'-ই সেরা!

বার্সার সেই ‘আরইএম’-ত্রয়ী—রোনালদিনহো, মেসি ও স্যামুয়েল ইতো। ছবি: ফাইল ছবি।
বার্সার সেই ‘আরইএম’-ত্রয়ী—রোনালদিনহো, মেসি ও স্যামুয়েল ইতো। ছবি: ফাইল ছবি।

শুধু এ যুগের নয়, অনেকের মতে এমএসএন-ত্রয়ী ইতিহাসেরই সেরা আক্রমণ ভাগ। এর সবচেয়ে কাছাকাছি যেতে পারে ‘বিবিসি’। পরিসংখ্যানও তা-ই বলে। এমন সফল আক্রমণভাগ সত্যিই বিরল। কিন্তু ব্রাজিলের তারকা রোনালদিনহোর মতে, এমএসএনের চেয়েও দুর্দান্ত ছিল আরেক ত্রয়ী—‘আরইএম’।
লিওনেল মেসির সঙ্গে লুইস সুয়ারেজ আর নেইমার। এ যে প্লে স্টেশন বা কম্পিউটার গেমে বেছে নেওয়া এক আক্রমণ ভাগ। সেই কল্পনাটাকেই বার্সেলোনা সত্যি করেছে বড় টাকা ঢেলে। এই ত্রয়ী বার্সাকে এনে দিয়েছে ট্রেবল। তবে কখনো কখনো যে রং হারায়নি, তাও নয়।
কিন্তু রোনালদিনহো মনে করেন, এমএসএনের চেয়েও দুর্দান্ত ছিল আরইএম। এই ত্রয়ীতেও মেসি আছেন। বাকি দুজনের একজন রোনালদিনহো নিজে। অন্যজন স্যামুয়েল ইতো। এঁরাও বার্সাতেই গড়ে ওঠা আক্রমণ-ত্রয়ী। এই ত্রয়ী দীর্ঘ খরা ঘুচিয়ে বার্সেলোনাকে এনে দিয়েছিল চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপার স্বাদ।
রোনালদিনহো বলেছেন, ‘ক্লাবে নিজেদের সময়ে এই দুই আক্রমণ-ত্রয়ী ইতিহাস গড়েছে। নিজ নিজ সময়ে দুটিই দুর্দান্ত খেলেছে বা খেলছে। তবে যদি বেছে নিতে বলেন, আমি ইতো ও মেসির সঙ্গে আমার ত্রয়ীকেই বেছে নেব।’
তবে রেকর্ড কিন্তু আরইএম–ত্রয়ীকে এগিয়ে রাখছে না। ২০০৪-০৫ থেকে শুরু হয়েছিল সেই ত্রয়ীর জয়যাত্রা। রোনালদিনহোর বিদায়ের মধ্য দিয়ে তার সমাপ্তি ঘটে ২০০৭-০৮ মৌসুমে। এর মধ্যে বার্সাকে ১৯৯২ সালের পর প্রথম ইউরোপ-সেরার ট্রফি এনে দেওয়াই তাঁদের সবচেয়ে বড় সাফল্য। সে মৌসুমে রোনালদিনহো-মেসি-ইতো মিলে গোল করেছিলেন ৬৮টি। গত মৌসুমে এমএসএন করেছিল ১৩১ গোল। ফলে ব্যবধানটা পরিষ্কার। আরইএম–ত্রয়ী ট্রেবলও জিততে পারেনি।
তবে মেসির গড়ে ওঠাটা আরইএম–ত্রয়ীর মধ্যেই। এমএসএন পেয়েছে পূর্ণ বিকশিত মেসিকে। এও তো সত্যি, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একদিন হয়তো যে আসনটা নেবেন নেইমার। রোনালদিনহো তা-ই মনে করেন, ‘নেইমার এখনই সেরাদের মধ্যে আছে। একদিন সে বিশ্বসেরা হবে। প্রত্যেক ব্রাজিলীয় তা মনে করেন, কারণ সে-ই আমাদের সেরা।’