৬ হাজার কোটি আয় করেও সিটিকে ধরতে পারল না রিয়াল মাদ্রিদ
মাঠের খেলায় ঘরোয়া লিগ টেবিলের শীর্ষে ম্যানচেস্টার সিটি। ইউরোপের কুলীন টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়নস লিগেরও শেষ ষোলোয় উঠেছে পেপ গার্দিওলার দল।
মাঠের খেলায় এমন ভালো পারফরম্যান্সের পাশাপাশি টাকা উপার্জনের খেলায়ও দাপট ছড়াচ্ছে ইংলিশ ক্লাবটি। ইংল্যান্ডের পেশাদার সার্ভিসেস ফার্ম ডেলোয়েটের ‘মানি লিগ’ তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে ম্যানচেস্টার সিটি।
নিজেদের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো ডেলোয়েট মানি লিগের শীর্ষে উঠল সিটি। বার্ষিক এই হিসেবে ২০২০–২১ মৌসুমের আর্থিক হিসাবে সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় করেছে ম্যানচেস্টারের ক্লাবটি। রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর চতুর্থ ক্লাব হিসেবে এই তালিকার শীর্ষস্থান দখল করল সিটি।
আগের (২০১৯–২০ শৌসুম) তালিকায় ছয়ে ছিল সিটি। গত মৌসুমে ক্লাবটির আয়ের পরিমাণ বেড়েছে ১৭ শতাংশ, আয়ের পরিমাণ ৬৪ কোটি ৪৯ লাখ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬১২৭ কোটি টাকা)। গত দুই বছরে করোনাভাইরাস মহামারিতে ইউরোপিয়ান ফুটবলে অনেক রদবদলই ঘটেছে।
গত বছর ডেলোয়েট মানি লিগে শীর্ষে থাকা বার্সাকে হটিয়ে সিটির শীর্ষে উঠে আসাও তার নজির। তবে সিটির বেশ কিছু বাণিজ্যিক চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন আছে। জার্সি ও স্টেডিয়ামের স্পনসর ইতিহাদ গ্রুপের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে ক্লাবটির মালিকের। ১৯৯৬–৯৭ মৌসুমে ডেলোয়েট মানি লিগ চালুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৪৫ গুণ আয় বেড়েছে সিটির।
সিটির পরই দুইয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। স্প্যানিশ ক্লাবটি ২০২০–২১ মৌসুমে আয় করেছে ৬৪ কোটি ৭ লাখ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬০৮৭ কোটি টাকা)। সিটির থেকে ৪২ কোটি ইউরো কম আয় করেছে কাল রাতে ক্লাসিকোয় বার্সেলোনার কাছে চার গোল হজম করা রিয়াল।
তৃতীয় বায়ার্ন মিউনিখের আয় ৬১ কোটি ১৪ লাখ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৮০৮ কোটি টাকা)। এবারসহ গত মৌসুমের মধ্যে রিয়াল ও বায়ার্নই ৬০ কোটি ইউরোর বেশি করে আয় করা দুটি ক্লাব।
৫৮ কোটি ২১ মিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৫৩০ কোটি টাকা) আয় করে চারে নেমে গেছে গতবার শীর্ষস্থান দখল করা বার্সেলোনা। ৫৫ কোটি ৮০ লাখ ইউরো আয় করে পঞ্চম ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৩০১ কোটি টাকা)।
৫৫ কোটি ৬২ লাখ ইউরো আয় করা পিএসজি ছয়ে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫২৮৪ কোটি টাকা)। শীর্ষ ২০টি ক্লাবের মধ্যে ইংল্যান্ড থেকে জায়গা করে নিয়েছে ১১টি ক্লাব। এর মধ্যে উলভস উঠে এসেছে প্রথমবারের মতো (১৭তম)।