১৯ বছরের হতাশা কাটল চ্যাম্পিয়ন কোচের
>পাকিস্তানকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব ১৫ কিশোর সাফ ফুটবলের চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশ দেশে ফিরেছে আজ।
মূল দল হোক কিংবা বয়সভিত্তিক দল, ছেলেদের জাতীয় দল কবে দেশের বাইরে থেকে শিরোপা জিতে দেশে ফিরেছিল, মনে করাই কঠিন। সময়টা তো কম নয়। ১৯৯৯ কাঠমান্ডু সাফ গেমসে শিরোপা জয় করে ফিরেছিল জাতীয় দল। ১৯ বছর পরে কাঠমান্ডু থেকে আবারও এল শিরোপা। হোক না অনূর্ধ্ব ১৫ পর্যায়ে।
এই শিরোপায় প্রায় ১৯ বছরের হতাশাও কেটেছে চ্যাম্পিয়ন দলের কোচ আনোয়ার পারভেজের। সামির শাকিরের দল থেকে শেষ মুহূর্তে বাদ পড়ায় সোনাজয়ী দলের সদস্য হওয়ার সুযোগ পাননি পারভেজ। বীরের বেশে দেশে ফেরার সুযোগও হয়নি তাঁর। এই আফসোসটা ১৯ বছর ধরে বয়ে বেড়াচ্ছিলেন আনোয়ার। এবার তাঁর হাত ধরেই কাঠমান্ডু থেকে শিরোপা নিয়ে ফিরল কিশোররা। ফলে মিলিয়ে গিয়েছে পারভেজের সেই ১৯ বছর আগের হতাশা, ‘কাঠমান্ডু থেকে যখন দল চ্যাম্পিয়ন হয় তখন আফসোস ছিল। আরেকটু হলে নিজেও হয়তো থাকতে পারতাম। আজ সেই অপূর্ণতা দূর হলো। আমার কোচিংয়ে সাফের ট্রফি নিয়ে ফিরলাম।’
১৯৯৯ সালের অপূর্ণতা থাকলেও আরেক দিক থেকে বাংলাদেশের ফুটবলে বিশেষ স্থান দখল করে আছেন এই কোচ। ২০০৩ সালে সাফ ফুটবল জয়ী দলের সদস্য ছিলেন এই লেফটব্যাক। এবার পেলেন কোচ হিসেবে শিরোপা জেতার স্বাদ, ‘ট্রফি জয় গর্বের। দুই দায়িত্ব থেকে দুই ট্রফি জেতাও বেশ গৌরবের। আমি আমার সেরাটা দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি।’ জাতীয় দলের সাবেক এই ফুটবলারের অধীনে গত বছর এএফসি অনূর্ধ্ব ১৬ বাছাইপর্বে কাতারকেও হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
বিমানবন্দরে আজ সব আলো ছিল গোলরক্ষক মেহেদী হাসানের ওপর । বদলি নেমে টাইব্রেকারে তিনটি শট ঠেকিয়ে চ্যাম্পিয়ন দলের নায়ক তো মেহেদীই। কঠোর অনুশীলনের ফল পেয়েছে বলেই জানাল যশোর বেনাপোলের নুর ইসলাম ফুটবল একাডেমির ছাত্র, ‘নীলফামারীতে আমরা দুই থেকে আড়াই মাস কঠোর পরিশ্রম করেছি। সেই পরিশ্রমের ফল পেয়েছি।’