১৬ লাখ রুপিতে জ্যোতিষী রেখে এশিয়ান কাপে ভারত
ফুটবলে জ্যোতিষবিদ্যার কথা শুনলে ফ্রান্সের সাবেক কোচ রেমন্ড ডমেনেখকে মনে পড়তে পারে। গুঞ্জন আছে, রবার্ট পিরেস বৃশ্চিক রাশির জাতক হওয়ায় তাঁকে জাতীয় দলের বাইরে রেখেছিলেন ডমেনেখ।
পরে তিনি ব্যাপারটি অস্বীকার করলেও জ্যোতিষবিদ্যার প্রতি টান স্বীকার করেছিলেন। তা, জ্যোতিষবিদ্যার প্রতি টান যে কারও থাকতেই পারে, হোক না সে জাতীয় দলের কোচ। কিন্তু দলের সৌভাগ্য কামনা করে জ্যোতিষী রাখা—এ কথা কে শুনেছেন কবে!
ভারত জাতীয় ফুটবল সে পথেই হেঁটেছে। জ্যোতিষী রেখে এএফসি এশিয়ান কাপের মূল পর্বে উঠেছে ভারত। দেশটির সংবাদ সংস্থা পিটিআই জাতীয় দলের ভেতরকার সূত্র মারফত জানিয়েছে, অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ) জাতীয় দলকে ‘প্রেরণাদীপ্ত’ রাখতে এক জ্যোতিষী এজেন্সিতে ১৬ লাখ রুপি ঢেলেছে। এরপরই ২৪ দলের প্রতিযোগিতা এএফসি এশিয়ান কাপের মূল পর্বে উঠেছে ভারত। নিজেদের গ্রুপে শীর্ষে থেকে মূল পর্বের দেখা পায় তাঁরা।
দলের ভেতরকার একজন পিটিআইকে বলেছেন, ‘এশিয়ান কাপের আগে জাতীয় দলের জন্য “মোটিভেটর” নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে জানা যায়, এর সঙ্গে জড়িত একটি জ্যোতিষ প্রতিষ্ঠান। সহজ কথায় জাতীয় দলকে প্রেরণা জোগাতে একজন জ্যোতিষী নিয়োগ দেওয়া হয়। এ জন্য ১৬ লাখ রুপি খরচ হয়।’ জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে তিনটি সেশনও করেছে এই জ্যোতিষ প্রতিষ্ঠান। তবে কলকাতার এক ফুটবলার পিটিআইকে বলেছেন, ‘দলে দেরিতে যোগ দেওয়ার পর আমি অন্তত এমন কিছু শুনিনি।’
এআইএফএফের জেনারেল সেক্রেটারি সুনন্দ ধরের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে তাঁর মন্তব্য পায়নি পিটিআই। ভারতের সাবেক গোলকিপার তনুময় বোস মনে করেন, এমন কাজ করে হাসির পাত্র হয়েছে দেশের ফুটবল ফেডারেশন, ‘যখন দেশের বোর্ড তরুণদের লিগ নিয়মিত আয়োজন করতে পারছে না, অন্যান্য ভালো টুর্নামেন্টও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তার মধ্যে এমন কিছু ভারতীয় ফুটবলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করবে।’
এর আগে দিল্লির একটি ক্লাব একবার নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে ‘বাবা’র সান্নিধ্য নিয়েছিল। ম্যাচটি জয়ের পুরো কৃতিত্ব সেই ‘বাবা’কে দিয়েছিল ক্লাবটি।