১১টি অস্ত্রোপচারের পর দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়ে মাঠে নামলেন তিনি
৪২৩ দিন।
ফুটবল–বিশ্বে গত ৪২৩ দিনে কত কিছুই তো হয়েছে। ইতালি ইউরোপ-সেরা হয়েছে। মেসির বার্সেলোনা ছাড়ার মতো অবিশ্বাস্য ঘটনার সাক্ষী হয়েছে সবাই। রোনালদো ফিরেছেন সেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে, যেখান থেকে হয়েছিল তাঁর তারকাখ্যাতির সূচনা। এত কিছুর মধ্যে একজন ফুটবলার কিছুটা আড়ালেই চালিয়ে যাচ্ছিলেন যুদ্ধ। সেই যুদ্ধ নিজের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার, নিজের ফুটবল ক্যারিয়ার আবার শুরু করার।
২০২০ সালের শেষ দিনে নতুন বছর উদ্যাপন করতে গিয়ে অস্বাভাবিক এক দুর্ঘটনার শিকার হন তুরস্কের ক্লাব গ্যালাতাসারাইয়ের নরওয়েজিয়ান ফুটবলার ওমর এলাবদেল্লাউই। আতশবাজি ফোটানোর সময় দুর্ঘটনায় তাঁর মুখ পুড়ে যায়। যার সবচেয়ে খারাপ প্রভাব পড়ে দুচোখে। দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন এলাবদেল্লাউই।
কিন্তু এলাবদেল্লাউইয়ের ছিল প্রবল ইচ্ছাশক্তি। শুরু করে দিয়েছিলেন সংগ্রাম। তুরস্ক থেকে উন্নত চিকিৎসার আশায় পাড়ি জমালেন যুক্তরাষ্ট্রে। গত ৪২৩ দিনে একে একে ১১ বার অস্ত্রোপচার করা হলো তাঁর দুই চোখে। আস্তে আস্তে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেলেন।
ক্যারিয়ার আবারও শুরু করার আশায় গগলস পরে শুরু করলেন অনুশীলন। শেষমেশ গতকাল গ্যালাতাসারাইয়ের হয়ে আবারও মাঠে নেমেছেন এই রাইটব্যাক। গজতেপের বিপক্ষে ৩-২ গোলে পাওয়া জয়ে তাই জয়ের থেকেও মুখ্য হয়ে উঠল এলাবদেল্লাউইয়ের ফিরে আসা। বিইন স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এলাবদেল্লাউই বলেন, ‘আমি আমার পরিবার, ম্যানেজার, সন্তান আর ফাতিহ তেরিমকে (গ্যালাতাসারাইয়ের কোচ) ধন্যবাদ জানাই আমাকে সাহায্য করার জন্য।’
৪২৩ দিন পর আবার ফুটবল ক্যারিয়ারের পুনর্জন্ম হয়েছে, এমনটাই মনে হচ্ছে এলাবদেল্লাউইয়ের, ‘খুবই কষ্টকর এক প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে আমাকে। খুবই বাজে ব্যাপার ছিল এটা। আমি অনেক কষ্ট করেছি। এখন আমি আবারও মাঠে ফিরে এসেছি। সেটাই করছি, যেটা আমি করতে পছন্দ করি। এটা আমার কাছে একরকম স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো ব্যাপার। মনে হচ্ছে, আমি আবারও নতুনভাবে ক্যারিয়ার শুরু করেছি।’