১০ বছর এক ছাদের নিচে থেকেও কেন পিকেকে বিয়ে করছেন না শাকিরা

জেরার্ড পিকে ও শাকিরাছবি: ইনস্টাগ্রাম

কোনো সন্দেহ নেই, তাঁরা পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত জুটিগুলোর একটি।

ব্রাজিলে যেমন এক সময় ছিলেন এলজা সোয়ারেস–গারিঞ্চা, স্পেনে এখন তেমনি জেরার্ড পিকে–শাকিরা। ঠিক এখন বললে ভুল হয়, এক দশক ধরেই তো মাত করে রেখেছেন এই জুটি।

সাম্বা কিংবদন্তি এলজাকে বিয়ে করেছিলেন গারিঞ্চা। পিকের ক্ষেত্রে কি বাধা?

শাকিরার সুললিত কণ্ঠে ২০১০ বিশ্বকাপের গান ‘ওয়াকা, ওয়াকা’ এখনো জনপ্রিয়। বার্সেলোনা তারকা পিকে সে গানের ভিডিওতে নিজের চেহারাও দেখিয়েছিলেন।

স্পেন সেবার দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বিশ্বকাপও জিতল আর পিকেও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি পেয়ে যান জীবনের ‘ধ্রবতারা’ শাকিরাকে। মানে, ওই বিশ্বকাপ থেকেই প্রেমের ফাঁদপাতা ভুবনে একই বাঁধনে জড়িয়ে পড়েন পিকে–শাকিরা। দুই ভুবনের এই দুই তারকার ঘরে দুটি সন্তান আছে—মিলান ও সাশা।

সন্তানদের সঙ্গে পিকে–শাকিরা জুটি
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

সব মিলিয়ে সুখের সংসার তাঁদের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই মজার ছবি পোস্ট করে নিজেদের সুখের জানান দেন তাঁরা। তবু অনেকে ভ্রুকুটি করেন, করতে পারেন। আচ্ছা, পিকে–শাকিরার সংসার যদি এতই সুখের হয় তাহলে বিয়ে করছে না কেন?

প্রশ্নটা সত্য। দুজন জীবন–নদীর একই নৌকায় প্রেমের বৈঠা বেয়ে একই ছইয়ের (পড়ুন ঘর) তলায় বসবাস করলেও বিয়েটা এখনো করে ওঠা হয়নি। কেন? ‘প্লানেট উইয়ার্ড’ পডকাস্টে জবাব দিলেন কলম্বিয়ান গায়িকা শাকিরা, ‘বিয়ের নাম শুনলে ভয় লাগে।’

বিষয়টি আরেকটু পরিষ্কার করে বলা যায়। পিকের বিয়ে করা স্ত্রী হয়ে জীবন কাটানোর ইচ্ছে নেই শাকিরার। তার চেয়ে পিকের ‘গার্ল’ অর্থাৎ, তাঁর প্রেমিকা হতেই বেশি পছন্দ শাকিরার।

বেশ আগে থেকেই প্রেমে মজেছেন পিকে–শাকিরা জুটি
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

এই সম্পর্কটা জাদুকরি বলে মনে করেন তিনি, ‘এটা (বিয়ে) আমার কাছে অনেকটাই নিষিদ্ধ সেই ফলের মতো। আমি চাই সে আমার প্রতি মনোযোগী থাকুক। এটা বুঝুক, তার ব্যবহারের ওপরই সম্পর্কটা কেমন হবে সেটা নির্ভর করবে।’ অর্থাৎ, বিয়ের পর সঙ্গীর ব্যাপারে গা ছাড়া ভাবটা একদমই পছন্দ নয় শাকিরার। প্রেমটা থাকলে মনোযোগ ও দায়িত্ব দুটোই থাকে বলে মনে করেন তিনি।

স্পেনের সাবেক ডিফেন্ডার পিকে এর আগে আর্জেন্টাইন সাময়িকী ‘ভিভা’য় বলেছেন, শাকিরা এবং তিনি ‘প্রথাগত সব জুটির মতো নন।’

তিনি বলেছিলেন, ‘এমন নয় যে আমাদের মধ্যে কাজ ভাগাভাগি করে নেওয়ার লিখিত চুক্তি আছে। আমরা দুজনেই খুব দায়িত্ববান বাবা–মা, একে–অন্যকে সহায়তা করি, পরিবারকেও করি। এ ছাড়া অন্য কোনো পথ আমাদের জানা নেই।’

পেশাগত কারণেই ইচ্ছে থাকার পরও সন্তানকে মনের মতো করে সময় দিতে পারেন না পিকে–শাকিরা জুটি। এ নিয়ে আক্ষেপ থাকলেও তাঁরা নিজেরা যেভাবে সমাধানের চেষ্টা করেন, সে বিষয়টাই জানালেন শাকিরা, ‘এটা কষ্টের। তবে আমরা প্রচুর ভিডিও কল করি। তাই সব সময় যোগাযোগ থাকে।’