হোটেলবন্দী থেকেই পার্টিতে মজেছেন রোনালদিনহো
প্যারাগুয়ের জেল থেকে ছাড়া পেলেও রোনালদিনহোর দেশে ফেরা হয়নি। প্যারাগুয়েরই বিলাসবহুল চার তারকা হো্টেলে একরকম বন্দী জীবন কাটছে ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী তারকার। তবে ওই যে কথায় আছে ‘ইল্লৎ যায় না ধুলে, স্বভাব যায় না মলে’—রোনালদিনহোর জীবনও এই বাংলা প্রবাদের মতোই কাটছে। মুক্তি পাওয়ার শর্ত ভেঙে হোটেলে নিজের কক্ষে মডেলদের সঙ্গে উদ্দাম পার্টিতে মেতে ওঠার অভিযোগ উঠেছে এই কিংবদন্তি মিডফিল্ডারের বিরুদ্ধে।
জাল পাসপোর্ট নিয়ে প্যারাগুয়ে ভ্রমণের দায়ে গত মার্চে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন রোনালদিনহো এবং তাঁর ভাই। সেখানে দীর্ঘদিন আটক থাকার পর ১.২ মিলিয়ন পাউন্ডের জামিনে সই করে ছাড়া পেয়েছেন কিংবদন্তি এ ফুটবলার। প্যারাগুয়ের হোটেল পালমারোগায় আছেন তিনি। প্যারাগুয়ের সংবাদমাধ্যম ‘হোয়’ জানিয়েছে, ছাড়ার পাওয়ার চুক্তির শর্ত ভেঙে হোটেলে মডেলদের সঙ্গে নৈশ পার্টি করছেন রোনালদিনহো। তাঁর কক্ষে নারীদের দলকে আসা যাওয়া করতে দেখা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, অতিথিদের অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে ভালো মানের পানীয়ও উপহার দেওয়া হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘তারা সম্ভবত মডেল। দেখে তাই মনে হয়। পরিচিতরা সরাসরি গাড়ি পার্কে ঢুকে যায়। অপরিচিতরা হোটেলের সামনের দরজা দিয়ে বের হয় এবং গাড়ি এসে তাদের নিয়ে যায়।’
গত সপ্তাহে জানা যায়, ৪০ বছর বয়সী রোনালদিনহো অবশেষে প্যারাগুয়ে থেকে ছাড়া পাচ্ছেন ও শিগগিরই দেশে ফিরবেন। নৈশ পার্টির প্রতি ভীষণ আকৃষ্ট ব্রাজিলের সাবেক এ মিডফিল্ডার। ফ্লামেঙ্গোয় থাকতে চুক্তিপত্রে সপ্তাহে দুদিন নৈশক্লাবে যাওয়ার শর্ত আদায় করে নিয়েছিলেন বার্সেলোনার সাবেক এ তারকা। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রোনালদিনহোকে সম্ভবত প্রায় ৭০ হাজার পাউন্ড জরিমানা গুনতে হবে। তাহলেই পরবর্তী বিচারিক কার্যক্রম এড়িয়ে তিনি দেশে ফিরতে পারবেন। এর আগে সব রকমের অপরাধ স্বীকার করে প্যারাগুয়ের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি করে তবেই জেল থেকে ছাড়া পান রোনালদিনহো এবং তাঁর ভাই রবার্তো।