হরলান্ডের বিকল্প আনতে দেরি করল না ডর্টমুন্ড

করিম আদেয়েমির চুক্তি ২০২৭ সাল পর্যন্তছবি : টুইটার

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দুই ক্লাবের দেওয়া দুই পোস্টের মধ্যকার সময়ের ব্যবধান মেরেকেটে ৬২ মিনিট। এক ঘন্টার চেয়ে দুই মিনিট বেশি আরকি।

বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় ম্যানচেস্টার সিটি ঘোষণা করল, আগামী মৌসুমে নতুন স্ট্রাইকার হিসেবে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে যোগ দিচ্ছেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার আর্লিং হরলান্ড। তখন কৌতূহলী টুইটার ব্যবহারকারীদের কেউ কেউ এ সংক্রান্ত খবর পাওয়ার জন্য ডর্টমুন্ডের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্টে ঢুঁ মেরেও হতাশ হয়েছিলেন। হরলান্ডের বিদায় নিয়ে ডর্টমুন্ড কোনো টুঁ শব্দটিও করেনি যে!

কেন করেনি, সেটা বোঝা গেল কাঁটায়-কাঁটায় ৬২ মিনিট পর। বিদায়ের করুণ সুর নয়, বরং সমর্থকদের নতুন আশার বাণী শোনাতেই ডর্টমুন্ডের ৬২ মিনিট দেরি হল। হরলান্ড যে চলে গেছেন, সেটা নিয়ে কিছু আনুষ্ঠানিকভাবে না বললেও, বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৩২ মিনিটে ডর্টমুন্ডের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট জানিয়ে দিল, দলে আসছেন নতুন ফরোয়ার্ড। তিন কোটি ৮০ লাখ ইউরোর বিনিময়ে অস্ট্রিয়ান ক্লাব রেড বুল সালজবুর্গ থেকে ডর্টমুন্ডে এসেছেন জার্মান ফরোয়ার্ড করিম আদেয়েমি। হলুদ-কালো দলটার সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি করেছেন ২০ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।

আরও পড়ুন

মজার ব্যাপার হলো, হরলান্ডকেও এই সালজবুর্গ থেকেই দলে এনেছিল ডর্টমুন্ড। কাকতালীয়ভাবে, হরলান্ডের বিকল্প খেলোয়াড়ও এলেন ওই সালজবুর্গ থেকেই। ২০১৮ থেকে সালজবুর্গে থাকলেও, মাঝে দুই বছর ধারে আরেক অস্ট্রিয়ান ক্লাব লিফেরিংয়ে খেলেছেন আদেয়েমি। এই চার বছরে সালজবুর্গের হয়ে ৯২ ম্যাচে ৩৩ গোল করেছেন, ১৬ গোল করিয়েছেন।

হরলান্ডকে হারালেও, আদেয়েমিকে পেয়ে ডর্টমুন্ড যে বেশ উচ্ছ্বসিত, সেটা বোঝা গেছে ডর্টমুন্ডের ক্রীরা পরিচালক মাইকেল জর্কের কথায়, ‘করিম আদেয়েমি অত্যন্ত প্রতিভাবান, তরুণ একজন জার্মান ফুটবলার। দুর্দান্ত ফিনিশিং ক্ষমতা ও অসাধারণ গতিময়তা তাঁকে ডর্টমুন্ডের আক্রমণভাগের গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। নিকো শ্লোটেরব্যাক ও নিকলাস সুলার (দুজনই জার্মান সেন্টারব্যাক) পর ডর্ট্মুন্ড আরও একজন তরুণ খেলোয়াড়কে দলে আনল।’

করিম আদেয়েমি
ছবি : টুইটার

এর এক ঘন্টা আগেই ২০২৭ সাল পর্যন্ত হরলান্ডের সঙ্গে চুক্তির খবরটা সবাইকে জানিয়ে দেয় সিটি। তবে দলবদল ফি মাত্র ৫ কোটি ১০ লাখ পাউন্ড হলেও, এজেন্ট ফি, পাঁচ বছরের বেতন, অন্যান্য বোনাস মিলিয়ে হরলান্ডের পেছনে ২০২৭ সাল পর্যন্ত প্রায় ২১ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড খরচ হবে সিটির।