স্পিনাৎসোলার জায়গায় আজ কাকে খেলাবে ইতালি
চোটের কারণে ইউরো থেকে ছিটকে গেছেন লিওনার্দো স্পিনাৎসোলা। দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারকে হারিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তায় ইতালির কোচ রবার্তো মানচিনি। স্পিনাৎসোলার সঙ্গে লরেনৎসো ইনসিনিয়ের যে বোঝাপড়া ছিল এই টুর্নামেন্টে, সেটার সুবিধা আজ স্পেনের বিপক্ষে সেমিফাইনালে কাজে লাগাতে পারবে না ইতালি।
ইতালি ইউরোজুড়ে যে দুর্বার ফুটবল খেলছে, এর একটা বড় কারণ স্পিনাৎসোলা। কিন্তু বেলজিয়ামের বিপক্ষে চোট পেয়ে দর্শক বনে যাওয়া লেফট ব্যাক স্পিনাৎসোলার জায়গা কাকে আজ খেলাবেন মানচিনি?
স্পিনাৎসোলার জায়গায় আজ দেখা যেতে পারে এমারসনকে। সাধারণত, ইতালির আক্রমণটা তৈরি হয় বাঁ প্রান্ত দিয়ে এবং সেটা করতেন স্পিনাৎসোলা। আর তাঁর সঙ্গে ইনসিনিয়ে প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকতেন ভয়ংকরভাবে। আজ সুযোগ পেলে সে কাজ এমারসন কতখানি করতে পারবেন, সেটাই নজরে থাকবে সব ইতালি–সমর্থকের। আর স্বাভাবিকভাবেই স্পিনাৎসোলার বদলে সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে যিনি খেলতে নামবেন, তিনি বেশ চাপেই থাকবেন।
ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড ফেদেরিকো কিয়েসার মন স্পিনাৎসোলার চোটে বেশ খারাপ, ‘স্পিনার (স্পিনাৎসোলা) জন্য আমার খুব খারাপ লাগছে। ইউরোতে ওর দারুণ সময় কাটছিল। আমাদের জন্য খুবই কার্যকর একজন ফুটবলার ছিল। আমরা ভাইয়ের মতোই ছিলাম এবং চোটে একজনকে হারানোটা মোটেও ভালো লাগছে না আমার।’
স্পিনাৎসোলার জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন কিয়েসা, ‘ওর জন্য শুভকামনা রইল। সে একজন অসাধারণ খেলোয়াড় এবং পরের ম্যাচগুলোতে আমরা তাকে মিস করব। এখন অবশ্যই সে সেরে ওঠার বিষয়ে ভাবছে। আমরা তার জন্য বিশেষ কিছু দেওয়ার চেষ্টা করব। আমরা তাকে আনন্দ উপহার দেওয়ার চেষ্টা করব।’
মিউনিখ থেকে জয় নিয়ে ফেরার পথে বিমানে ইতালির সব ফুটবলারই স্পিনাৎসোলার নামে গান গেয়েছেন। এমনকি ইতালি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি গাব্রিয়েলে গ্রাভিনাও সহমর্মিতার সুরে বলেছেন, ‘মিউনিখে ড্রেসিংরুমে সবাই আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েছিল ওই রাতে। ওদের এক সতীর্থ যখন চোটে ছিটকে গেল, তখন ওদের দেখে মনে হচ্ছিল যেন আমরা ম্যাচ হেরে গেছি।’
স্পিনাৎসোলা যেন দ্রুতই মাঠে ফেরেন, সে আশা গ্রাভিনার, ‘আমার খারাপ লাগছে স্পিনাৎসোলার জন্য, ও দলকে প্রচণ্ড সাহায্য করত। আমি ওর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।’ আর ইতালি দলের অন্যতম মিডফিল্ডার বোনুচ্চি তো বলেই দিয়েছেন, ‘আমরা স্পিনাৎসোলার জন্য সেমিফাইনালটা জিততে চাই। ও আমাদের দলের সঙ্গে নেই, সেটা ভাবতেই পারছি না।’
একে তো মানচিনির এই ইতালি ভয়ংকর, এ পর্যন্ত টানা ৩২ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড ইতালির, এর ওপর যোগ হয়েছে বাড়তি আবেগ। কে জানে হয়তো এই আবেগ দিয়েই শেষ পর্যন্ত ইউরোর ফাইনালে উঠে যেতে পারে ইতালি। শেষ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে ইউরো চ্যাম্পিয়ন।