সুয়ারেজের দাওয়াতে বার্সেলোনায় ফিরলেন মেসি-নেইমার
মেসির সঙ্গে বার্সেলোনার সম্পর্ক শেষ হয়ে যাওয়ার খবর এসেছিল দুই সপ্তাহ আগে। ঘটা করে আর্জেন্টাইন জাদুকরকে পিএসজির নিজেদের বলে ঘোষণা দেওয়ারও ১০ দিন হয়ে এসেছে।
চার বছর আগে প্যারিসের ক্লাবের ক্লাবে নেইমারকে হারিয়েছিল বার্সেলোনা। এরপর থেকে ব্রাজিলিয়ান তারকাকে ফেরার আশায় দিন কাটিয়েছেন বার্সেলোনা সমর্থকেরা। সে স্বপ্ন তো পূরণ হয়ইনি, উল্টো মেসিও চলে গেছেন।
সাবেক দুই তারকাকে অন্তত এক দিনের জন্য হলেও ফিরে পেয়েছে বার্সেলোনা। ক্লাব না পাক, শহর অন্তত ফিরে পেয়েছে তাঁদের। কাতালান ক্লাব থেকে মন খারাপ করে বিদায় নেওয়া আরেক তারকা লুইস সুয়ারেজের ডাকে আবার বার্সেলোনায় দেখা দিয়েছেন মেসি-নেইমার।
মেসিকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত পিএসজি তাড়াহুড়া করতে চায় না তাঁকে নিয়ে। আগস্টের একদম শেষ ম্যাচে তাঁকে মাঠে নামানোর পরিকল্পনা কোচ মরিসিও পচেত্তিনো। লিগে প্রথম ম্যাচে তো সুযোগ ছিলই না, পরের দুটি ম্যাচেও মেসিকে স্কোয়াডে রাখেননি কোচ। গতকাল ব্রেস্তের বিপক্ষে ৪-২ ব্যবধানে জেতা ম্যাচেও স্কোয়াডে ছিলেন না মেসি। ছিলেন না নেইমারও। আর এ সুযোগটাই নিয়েছেন দুজন। কাল দুই তারকাকেই বার্সেলোনা বিমানবন্দরে দেখা গেছে।
দুই তারকা অবশ্য একসঙ্গে ভ্রমণ করেননি। প্রাইভেট জেটে উড়াল দেওয়া দুজন নেমেছেন কিছুটা সময়ের ব্যবধানে। যদিও দুজনের গন্তব্য ছিল এক।
স্তেলদেফেলসে লুইস সুয়ারেজ ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে ডিনার করেছেন দুজন। লুইস সুয়ারেজ অবশ্য ছুটিতে নেই। আগামীকাল রোববার এলসের বিপক্ষে আতলেতিকো মাদ্রিদের জার্সিতে মূল একাদশে থাকার কথা তাঁর। তবে প্রিয় দুই বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার জন্য ছুটি মিলেছিল তাঁর।
একসময় ইউরোপজুড়ে আতঙ্ক জাগানো এমএলএস-ত্রয়ী মাঠের বাইরেও দারুণ বন্ধু। এর আগেও যখন নেইমার বার্সেলোনা ছেড়ে গিয়েছিলেন, সেই সাড়া জাগানো দলবদলের পরপরই বার্সেলোনায় এসে মেসি-সুয়ারেজদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে গিয়েছিলেন। বার্সেলোনার সঙ্গে চলা মামলার ঝামেলার সময়টাতেও এই অভ্যাসের ব্যত্যয় হয়নি।
সময়ের পালাবদলে এখন কেউই বার্সেলোনার নন। নেইমার চলে গেছেন ২০১৭ সালে। মেসির দুঃখ বাড়িয়ে ২০২০ সালে আতলেতিকোতে যেতে হয়েছে সুয়ারেজকে। আর এবার তো মেসিই চলে গেলেন শৈশবের ক্লাব ছেড়ে। তবু আরও একবার এমএসএনের দেখা তো মিলল বার্সেলোনায়। হোক না সেটা খাবারের টেবিল!
প্যারিসের জীবনে এখনো গুছিয়ে ওঠেননি মেসি। বাড়ি কিনবেন, নাকি ভাড়া করবেন, সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে আপাতত হোটেলে থাকছেন। তবে মেসির এই ভ্রমণের উদ্দেশ্য নাকি বার্সেলোনার জীবন গুটিয়ে ব্যক্তিগত সব জিনিসপত্র প্যারিসে নিয়েযাওয়া।