সুলশারের জাদু শেষ?
>হোসে মরিনহো যাওয়ার পর নতুন কোচ ওলে গুনার সুলশারের অধীনে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সুলশারের জাদুতে জেগে উঠেছে ইউনাইটেড, এমনটাই ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে লিগে আর্সেনালের কাছে হারার পর কাল উলভসের সঙ্গে হেরে এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিল দলটি। প্রশ্ন উঠেছে, সুলশারের কেরামতি কি তাহলে শেষ?
হোসে মরিনহোর অধীনে ‘নেতিবাচক’ ফুটবল খেলত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু ওলে গুনার সুলশার এসে দলকে দিয়েছেন আক্রমণের লাইসেন্স। সুলশার আসার পর প্রথম কয়েক সপ্তাহ এমনটাই মনে হচ্ছিল। উদ্যমী ইউনাইটেডকে কেউ হারাতে পারবে বলে মনে হচ্ছিল না। কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যে দুইবার হেরে ইউনাইটেড প্রমাণ করল, সুলশারও রক্ত-মাংসেরই মানুষ, কোনো জাদুকর নন, এই কোচের অধীনে বিশেষ কোনো রণকৌশল নিয়ে তারা মাঠে নামেননি।।
ইউনাইটেড কাল হেরেছে। উলভসের সঙ্গে ২-১ গোলে হেরে এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছে তারা। উলভসের হয়ে দুটি গোল করেছেন পর্তুগিজ তারকা দিওগো জোটা ও মেক্সিকান স্ট্রাইকার রাউল জিমেনেজ। একদম শেষ মুহূর্তে ইউনাইটেডের ইংলিশ স্ট্রাইকার মার্কাস রাশফোর্ড গোল করে শুধু ব্যবধানটাই কমিয়েছেন। আর এই জয় নিয়ে ২১ বছর পর এফএ কাপের সেমিফাইনালে উঠল উলভস। পর্তুগিজ কোচ নুনো এসপিরিতো সান্তোর অধীনে যারা এখন সমীহ করার মতো এক শক্তি। যারা ১৯৮০ সালের পর প্রথম কোনো শিরোপা জেতার স্বপ্ন দেখছে।
বেশ শক্তিশালী একটা দল নিয়েই মাঠে নেমেছিল ইউনাইটেড। প্রথম থেকেই মাঠে ছিলেন পল পগবা, নেমানিয়া মাতিচ, অ্যান্ডার হেরেরা, অ্যান্থনি মার্শিয়াল, হেসে লিনগার্ড, ভিক্টর লিন্ডেলফ, ক্রিস স্মলিং, লুক শ এর মতো মূল একাদশের তারকারা। তাও উলভসের রক্ষণভাগে কাঁপন ধরানোর মতো তেমন কিছুই করতে পারেননি তারা। ম্যাচশেষে এটাই স্বীকার করেছেন সুলশার, ‘আমার অধীনে খেলা ইউনাইটেডের সবচেয়ে জঘন্য ম্যাচ এটা। ম্যাচ জেতার কোনো তাড়না ছিল না আমাদের। আমরা আমাদের সুযোগ গুলো কাজে লাগাতে পারিনি।’
ইউনাইটেডের মূল গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়া এদিন বিশ্রাম দিয়েছিলেন সুলশার। মাঠে নেমেছিলেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরো। ম্যাচে রোমেরো বেশ কিছু দুর্দান্ত সেভ করলেও দলের পরাজয় ঠেকাতে পারেননি।
উলভারহ্যাম্পটন ছাড়াও এফএ কাপের সেমিতে এবার উঠেছে ওয়াটফোর্ড, ম্যানচেস্টার সিটি। মিলওয়াল ও ব্রাইটনের মধ্যে জয়ী দল উঠবে সেমিতে।