সানডের গোলের পর টাইব্রেকে হার রহমতগঞ্জের
আবাহনী লিমিটেডের জার্সিতে তাঁর গোল উদ্যাপনের দৃশ্য এখনো সমর্থকদের চোখে ভাসে। ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আবাহনীতে খেলে প্রায় ৫০টির মতো গোল করেছেন নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার সানডে সিজোবা।
সানডে আজ গোল করেছেন রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির জার্সিতে। শেখ জামাল ধানমন্ডির বিপক্ষে গোল করে দলকে সমতায় ফিরিয়েছিলেন সানডে। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচটি ১–১ গোলে ড্র।
কিন্তু ‘ডি’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন কারা? এই প্রশ্নের সমাধানে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। স্নায়ুর লড়াইয়ে রহমতগঞ্জকে ৫–৪ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল।
চলতি মৌসুমে আবাহনী নতুন চার বিদেশি খেলোয়াড় নেওয়ায় আবাহনীতে জায়গা হয়নি সানডের। সে সুযোগে তাঁকে দলে ভিড়িয়ে চমকই দেখিয়েছে পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জ।
স্বাধীনতা কাপে দলের সঙ্গে ছিলেন না। সপ্তাহখানেক আগে ঢাকা এসেছেন। রহমতগঞ্জের জার্সিতে আজই প্রথম ম্যাচে খেললেন সানডে। শেষ পর্যন্ত দলকে জেতাতে না পারলেও গোল দিয়ে শুরু হলো তাঁর নতুন অভিযান। তবে টাইব্রেকারে প্রথম শট মিস করেছেন তিনি।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় দুই দলের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। আজ ছিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াই। সে লড়াইয়ে ৭ মিনিটেই নুরুল আবসারের গোলে এগিয়ে যায় শেখ জামাল।
রাইটব্যাক রায়হান হাসানের লম্বা থ্রোইন বক্সের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়িয়ে দেন আবসার। এই গোলে দায় এড়াতে পারেন না রহমতগঞ্জের তাজিকিস্তানের সেন্টারব্যাক সিওভুশ আশরোরভ।
সানডেকে পেয়ে রহমতগঞ্জের শক্তি বেড়েছে। সবচেয়ে বড় কথা সানডেকে বাড়তি সমীহর চোখে দেখেন প্রতিপক্ষ রক্ষণভাগের খেলোয়াড়েরা। আজ যেমন তাঁকে পেয়ে জোড়া স্ট্রাইকার খেলালেন রহমতগঞ্জ কোচ সৈয়দ গোলাম। দলও খেলেছে অনেক আক্রমণাত্মক।
২৮ মিনিটেই ম্যাচে ফিরতে পারত রহমতগঞ্জ। অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান কিরণের ফ্রি-কিকে এনামুল হোসেন গাজীর হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এরপর দুবার গোলের সুযোগ নষ্ট করলেন সানডে। শেখ জামালের জয়ের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল ম্যাচ। ৯০ মিনিটে ঝলকটা দেখালেন সানডে। ফিলিপ আজাহর ব্যাক হিল থেকে আলতো টোকায় গোল করে দলকে সমতায় ফেরান সানডে।
ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে আবার রহমতগঞ্জ সমর্থকদের কাছে ভিলেনের আসনে সানডে। তাঁর শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেন শেখ জামালের বদলি গোলরক্ষক মোহাম্মদ নাঈম। ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়াতে যাচ্ছে দেখে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে বদলি হিসেবে নামানো হয় নাঈমকে। সানডের শট ঠেকিয়ে সে আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন নাঈম।
স্পট কিক থেকে শেখ জামালের হয়ে গোল করেন যথাক্রমে সলোমন কিং, ইয়াসিন খান, আরিফুল ইসলাম, নুরুল আবসার ও রায়হান হাসান। সানডের মিসের পর রহমতগঞ্জের হয়ে গোল করতে ভুল করেননি সিওভুশ, ওয়ালি ফয়সাল, ফিলিপ ও মোহাম্মদ স্বাধীন।