বার্সেলোনার বিখ্যাত লা মাসিয়া একাডেমি থেকে যাঁরা উঠে এসেছেন, তাঁদের সমালোচনা করা যাবে না। সমালোচনা হবে ট্যাকের পয়সা খরচ করে যাদের কিনে আনা হয়েছে, তাঁদেরই। বার্সেলোনায় এমনটাই সব সময় হয়ে এসেছে বলে মনে হচ্ছে লুই ফন হালের।
অবসর ভেঙে কদিন আগে নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়া ফন হাল দুই দফা বার্সেলোনার কোচের দায়িত্বে ছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বলছেন, বার্সেলোনায় সময়টা খারাপ চলতে থাকলেই সব সমালোচনা করা হয় বিদেশিদের। যেন বিদেশিরাই নন্দ ঘোষ। যত দোষ, সব তাদেরই।
বার্সেলোনায় যাওয়ার পর থেকেই ভীষণ সমালোচনার মুখে পড়া ডাচ কোচ রোনাল্ড কোমান আর গত কিছুদিনে সমালোচনার মুখে পড়া ডাচ মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংকে নিয়ে বলতে গিয়েই ফন হাল কথাগুলো বলেছেন। তাঁর চোখে, কোমান, ডি ইয়ংদের এমন সমালোচনা বার্সার ‘নিয়মিত চরিত্র।’
ইউরোপ অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে জিব্রাল্টারের বিপক্ষে আগামীকাল মাঠে নামবে নেদারল্যান্ডস। তার আগে সংবাদ সম্মেলনে বার্সায় কোমান ও ডি ইয়ংকে ঘিরে চলা সমালোচনার প্রসঙ্গ এসেছে। ডি ইয়ং তো নেদারল্যান্ডস দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, কোমান বছর দুয়েক আগে নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলের দায়িত্ব ছেড়েই বার্সেলোনার কোচ হয়েছিলেন।
বার্সায় তাঁদের প্রতি সমালোচনা নিয়ে প্রশ্নেই নেদারল্যান্ডসের বর্তমান কোচ ফন গাল বললেন, ‘(বার্সায়) যখন সবকিছু ভালোয় ভালোয় চলতে থাকে আর আপনি তাতে অবদান রাখবেন, যেটা গত দুই বছরে ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং রেখেছে, তখন চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু যখনই সময় খারাপ চলবে, বার্সেলোনার লোকজন সব সময় বিদেশিদের দিকেই আঙুল তোলে। আর এখন যে কোচেরও (কোমান) সমালোচনা চলছে, তার কারণ তিনি বিদেশি এবং একজন ডাচ।’
বর্তমানে ৭০ বছর বয়সী ফন গাল বার্সেলোনায় প্রথম দফায় ১৯৯৭ সাল থেকে তিন বছর কোচিং করিয়েছেন। এরপর আবার ফেরেন ২০০২ সালে, সেবার টেকেন মাত্র এক মৌসুম।
দুই দফায় দুটি লিগ, একটি কোপা দেল রে ও একটি উয়েফা সুপার কাপ জেতান বার্সাকে। কিন্তু কাতালান ক্লাবে অনেক বিতর্কে জড়িয়েছে তাঁর নাম। ফন গাল অবশ্য কখনো সেসবে নিজের দোষ দেখেননি।
এবার কোমান, ডি ইয়ংয়ের ক্ষেত্রেও তাঁর মনে হচ্ছে, বার্সেলোনায় বিদেশিদেরই বলির পাঁঠা বানানোর ‘ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি’ হচ্ছে। তাঁর দুই দফায় দলের পারফরম্যান্স আশানুরূপ না হলেই অন্য সব উপেক্ষা করে তাঁর সমালোচনা হয়েছে মনে করিয়ে দিয়ে ফন গাল এই সময়ে বার্সায় থাকা ডাচদের উদ্দেশে বললেন, ‘চারদিকের নেতিবাচক মন্তব্যকে বেশি পাত্তা দিয়ো না।’