চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের মাঠ থেকে এত বড় জয় বোধ হয় বার্সেলোনাও আশা করেনি!
জাভি তো বলেই দিয়েছেন, ম্যাচের ফলাফল দেখে তিনি নিজেই বিস্মিত। তিন পয়েন্ট পাওয়ার লক্ষ্যে খেলবেন বলেছিলেন, তাই বলে এমন? রিয়ালের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে গিয়ে চার গোল দিয়ে আসা, তা–ও আবার এমন সময়ে, যখন বার্সেলোনা আর আগের মতো নেই বলে চারদিকে রব উঠে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠতেই পারে, নিজেদের ইতিহাসের অন্যতম বাজে সময়েই যদি বার্সেলোনা রিয়ালের মাঠে গিয়ে এমন দুর্দান্তভাবে জিতে আসতে পারে, পুরোপুরি ফর্মে ফিরলে কী হবে?
সেটা নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ আপাতত চিন্তা করতে চাইবে না। আগে নিজেদের ভাঙা ঘর সামলানো যাক, তারপর না প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তা কিংবা ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা!
বার্সেলোনা আক্ষরিক অর্থেই গত রাতে রিয়াল মাদ্রিদের ঘর ভেঙে দিয়ে এসেছে। নস্যাৎ করে এসেছে কার্লো আনচেলত্তির যত কৌশল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বার্সেলোনাকে টানা পাঁচ ম্যাচ হারানোর পর এভাবে নিজেদের মাঠে পর্যুদস্ত হওয়ার দায় আনচেলত্তি অবশ্য নিজেই নিচ্ছেন। স্বীকার করছেন, এমন অদ্ভুতুড়ে ফলাফলের পেছনে দোষ তাঁরই।
আনচেলত্তি মানছেন, শিষ্যদের খেলা দেখে মনে হয়নি, তাঁরা রিয়াল মাদ্রিদের মতো ক্লাবের হয়ে খেলে। তাই বলে শিষ্যদের ঘাড়ে দোষ চাপাননি এই ইতালিয়ান কোচ, ‘আমাদের খেলা দেখে চেনা যায়নি। যা যা ভেবেছিলাম, সব ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এই ফলাফলের কথা ভুলে গিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের। আমি খেলোয়াড়দের বলেছি, আমি কোচ, সব ভুল আমারই। যদিও লিগে এখনো আমরা বেশ বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছি।’
বার্সেলোনার মতো দলের বিপক্ষে এভাবে হেরে যাওয়াটা নিঃসন্দেহে আনচেলত্তিকেও পোড়াচ্ছে, ‘হারটা মেনে নেওয়া কষ্টকর। কারণ, এটা ক্লাসিকো। ভক্তদের জন্য তো বটেই। কারণ, আমরা বার্সার বিপক্ষে খেলছি। আমরা লড়াইয়ে হেরে গিয়েছি। আমাদের জন্য অনেক বড় এক ধাক্কা। যদিও লিগে আমাদের আধিপত্য আছে এখনো। চোটে পড়া খেলোয়াড়েরা যেন তাড়াতাড়ি ফিরে আসে, সেটাই এখন আশা করতে পারি।’
লিগে এখনো দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেভিয়ার চেয়ে ৯ পয়েন্টে এগিয়ে রিয়াল। হাতে আছে আরও ৯ ম্যাচ। এক ম্যাচ কম খেলা বার্সেলোনা পিছিয়ে ১২ পয়েন্টে। কিন্তু বার্সেলোনা যেভাবে মৌসুমের এ পর্যায়ে এসে ফর্ম ফিরে পেয়েছে, আধিপত্য ধরে রাখতে পারবে তো?