শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে আশা টিকে রইল বাংলাদেশের
এসএ গেমস ফুটবলে অবশেষে জিতেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–২৩ দল। আজ কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কাকে তারা হারিয়েছে ১–০ গোলে
আজ শুরুর একাদশে বড় এক পরিবর্তন এসেছিল। স্ট্রাইকার নাবীব নেওয়াজ জীবনের জায়গায় খেলেছেন মাহবুবুর রহমান সুফিল। আর সেই পরিবর্তনই শেষ পর্যন্ত আশীর্বাদ হয়ে এসেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–২৩ দলের জন্য। এসএ গেমস ফুটবলে জেমি ডের দল পেয়েছে কাঙ্ক্ষিত জয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়টা ১–০ গোলে। জয়সূচক গোল ওই মাহবুবুর রহমান সুফিলেরই।
প্রথম ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে হার, দ্বিতীয় ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে ড্র—এসএ গেমসের ফুটবলে সোনার লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে শেষ দুই ম্যাচ জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবার অবকাশ ছিল না বাংলাদেশের। ম্যাচের শুরু থেকে লঙ্কানদের ওপর ঝাঁপিয়ে ১১ মিনিটে গোল আদায় করে নেয় দল। একটি সংঘবদ্ধ আক্রমণে ডান প্রান্ত থেকে সাদউদ্দিনের কাটব্যাক ধরে প্রায় ফাঁকায় দাঁড়িয়ে গোল করেন সুফিল।
১–০ গোলে এগিয়ে অবশ্য ম্যাচে খুব বেশি প্রাধান্য বিস্তার করে খেলতে পারেননি জামাল ভূঁইয়ারা। শ্রীলঙ্কান খেলোয়াড়দের গতিময় আক্রমণগুলোর সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের এলোমেলো ফুটবল এ জন্য অনেকটাই দায়ী। একটা আক্রমণও ঠিকমতো এ সময় দানা বাঁধাতে পারেননি সুফিল–রবিউলরা। তবে রক্ষণে বিশ্বনাধ, ইয়াসিন, টুটুল হোসেন বাদশারা নিজেদের দায়িত্ব ভালোমতো পালন করায় বিপদের কারণ ঘটেনি। শ্রীলঙ্কান দল আক্রমণে উঠলেও গোলের সুযোগ যে তারা অনেক তৈরি করেছে—এ কথা বলা যাবে না। গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো ছিলেন আস্থার প্রতীক হয়েই।
দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ তুলনামূলক ভালো খেলেছে। গোলের সুযোগও তৈরি হয়েছে। কিন্তু স্ট্রাইকিং–ব্যর্থতা গোলের সংখ্যা বাড়তে দেয়নি। খেলার শেষ দিকে সুফিলের জায়গায় নাবীব নেওয়াজ জীবন নেমে খুব সম্ভবত ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি নষ্ট করেন। সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি বদলি হিসেবে নামা ইব্রাহিমও।
বাংলাদেশের শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে।