শেষ মুহূর্তে বেনজেমার গোল, সেভিয়ার মাঠে রিয়ালের অবিশ্বাস্য জয়

শেষ মুহূর্তে তাঁর গোলেই জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ, এমন উচ্ছ্বাস তাই বেনজেমাকেই মানায়রয়টার্স

রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচে এখন আর নাটক না হলে যেন জমে না!

চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ফিরতি লেগে চেলসির বিপক্ষে সেই নাটকীয় ম্যাচের রেশ কাটতে না কাটতেই আজ আরও একটা রোমাঞ্চকর ম্যাচ উপহার দিল কার্লো আনচেলোত্তির দল। এবার লা লিগায় প্রতিপক্ষ সেভিয়া। ২ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়া রিয়াল প্রত্যাবর্তনের অবিশ্বাস্য গল্প লিখে ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত জিতেছে ৩-২ ব্যবধানে! যোগ হওয়া সময়ে গোল করে আরও একবার রিয়াল মাদ্রিদের নায়ক দুর্দান্ত ফর্মে থাকা করিম বেনজেমা।

বেনজেমাকে নিয়ে সতীর্থদের উল্লাস
রয়টার্স

এ জয়ে ৩২ ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগে শীর্ষস্থান আরও শক্ত করেছে রিয়াল। হেরে তিন নম্বরে নেমে গেছে সেভিয়া, রিয়ালের সমান ম্যাচ খেলে এখন তাদের পয়েন্ট ৬০। ৩০ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে বার্সেলোনা।

র‍্যামন সানচেজ স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধটা দেখে মনে হচ্ছিল, বার্সেলোনার কোচ জাভি হার্নান্দেজের চাওয়া তাহলে কিছুটা হলেও পূরণ করতে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ! এই মৌসুমে বার্সার আর শিরোপা জেতার আশা আছে কি না, এমন প্রশ্নে জাভি গত সপ্তাহেই বলেছিলেন, ‘আমাদের এখন রিয়ালের পয়েন্ট হারানোর অপেক্ষায় থাকতে হবে। দেখা যাক সুযোগ আসে কি না।’

বিরতির আগে যেন রিয়াল বার্সাকে সেই সুযোগ দিতেই খেলল। কিংবা গত বুধবার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে চেলসির বিপক্ষে সেই স্নায়ুক্ষয়ী ম্যাচের রেশ কাটিয়ে আড়মোড়া ভাঙতে একটু সময় নিল। ততক্ষণে দুই গোল করে ম্যাচের লাগাম হাতে নিয়ে গেছে সেভিয়া। দুটোই অবশ্য রিয়াল মাদ্রিদের রক্ষণের ভুলে।

ফ্রি-কিক থেকে রাকিতিচের গোল
রয়টার্স

নিজেদের বক্সে লুকা মদরিচ ফাউল করে বসেন প্রতিপক্ষ মিডফিল্ডার পাপু গোমেজকে। ফ্রি-কিক পায় সেভিয়া। ইভান রাকিতিচ শট নেওয়ার আগেই লাফাতে গিয়ে রক্ষন-দেয়াল ভেঙ্গে ফেলেন রিয়ালের খেলোয়াড়েরা। সেই ফাঁকা জায়গা দিয়েই বল গেছে রিয়ালের জালে।

চার মিনিট পরে রিয়ালের রক্ষণ ভেঙ্গে দারুন গতিতে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন হেসুস করোনা। তাঁকে আটকাতে শেষ পর্যন্ত গোলপোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন থিবো কর্তোয়া। কিন্তু এর আগেই করোনা বল বাড়িয়ে দেন এরিক লামেলার জন্য। আর্জেন্টাইন উইঙ্গারের শট চলে যায় রিয়ালের জালে।

এরিক লামেলার গোলে ২-০ করে সেভিয়া
রয়টার্স

বিরতির পর রিয়াল বুঝি একটু গা ঝাড়া দিয়ে নামে! আর তাতে ফলও পায়। ৫০ মিনিটের সময় দানি কারভাহালের পাস থেকে গোল করে ব্যবধান কমান বদলি নামা রদ্রিগো। ওই গোলের পর সেভিয়ার বক্সে যাওয়া-আসা বেড়ে যায় রিয়ালের। তবে সমতা ফেরানো গোলটা হচ্ছিল না বেনজেমা-মিলিতাওরা একের পর এক সুযোগ নষ্ট করে যাওয়ায়। একবার তো লুকা মদরিচের হেড থেকে বল পেয়ে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র সেভিয়ার জালে বলও পাঠান। কিন্তু ভিনিসিয়ুসের হ্যান্ডবল দেখিয়ে রেফারি বতিল করে দেন সেই গোল।

গোলের পর রদ্রিগো
রয়টার্স

সমতা ফেরানো গোলটা রিয়াল শেষ পর্যন্ত পেয়েছে ৮২ মিনিটে, নাচো ফার্নান্দেজের কাছ থেকে। কর্নার থেকে আসা বল দানি কারভাহাল কাটব্যাক করেছিলেন ফার্নান্দেজকে।

আরও পড়ুন
রিয়ালের দ্বিতীয় গোলটা নাচো ফার্নান্দেজের
রয়টার্স

এক পয়েন্ট নিয়েই রিয়ালকে সন্তুষ্ট থাকতে হবে, এমন যখন মনে হচ্ছে, তখনই বেনজেমা জাদু। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের কাছ থেকে বল পেয়ে রদ্রিগো চেষ্টা করেছিলেন শট নিতে, সেভিয়ার ডি-বক্সে জটলায় ঢুকে কাট ব্যাক করেন বেনজেমাকে। এইবার আর সুযোগ নষ্ট করেননি ফরাসি স্ট্রাইকার। সাত মিনিট যোগ করা সময়ের তখন দ্বিতীয় মিনিটের খেলা চলছে। এরপরে আর সেভিয়াকে ম্যাচে ফিরতে দেয়নি রিয়াল।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন