লেভান্তে ‘শামুকে’ পা কাটল আতলেতিকোর
আতলেতিকো মাদ্রিদের মাঠ ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় খেলতে নামার আগে ইউরোপে শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে সবচেয়ে কম পয়েন্ট ছিল লেভান্তের। ২৩ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট। এই পথে দলটির হজমকৃত গোলসংখ্যা ৫০।
অর্থাৎ, ম্যাচ প্রতি গড়ে দুই গোলের বেশি হজম করেছে লেভান্তে। সে হিসেবে আজ লেভান্তের জালে আতলেতিকোর অন্তত দুই গোল করার কথা। অথচ, ডিয়েগো সিমিওনের দল ম্যাচে প্রথম ঘন্টায় লেভান্তের পোস্ট সই করে একটি শট-ও রাখতে পারেনি!
লেভান্তে লা লিগা টেবিলে তলানির দল। এমন দলের বিপক্ষে গোল হজম করে বসলে আরও বিপদ। ৫৪ মিনিটে আতলেতিকো সেই বিপদে পড়ার আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। লেভান্তের কাছে ঘরের মাঠে ১-০ গোলের হারে বড় ধাক্কাই খেল লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
৫৪ মিনিটে আতলেতিকো বক্সের সামনে দৌড়ানোর ফাঁকা জায়গা পেয়ে যান লেভান্তের উইঙ্গার হোর্হে দে ফ্রুতোস। ডান প্রান্ত দিয়ে দৌড়ে আসা মিডফিল্ডার গঞ্জালো মেলেরোকে একদম জায়গামতো পাস বাড়ান। আতলেতিকো গোলকিপার ইয়ান ওবলাক তাঁর ডান পায়ের শক্তিশালী শট রুখতে পারেননি। গোল!
লেভান্তেকে শুধু দারুণ এক জয় এনে দেয়া না, ক্লাবটির ইতিহাসের একটি পাতায়ও ঠাঁই করে নিলেন মেলেরো। লা লিগায় লেভান্তের ইতিহাসে একমাত্র ফুটবলার হিসেবে 'বিগ থ্রি'-র (রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও আতলেতিকো) বিপক্ষে পেলেন গোলের দেখা।
লা লিগার ইতিহাসে পঞ্চম দল হিসেবে মৌসুমের প্রথম ২৩ ম্যাচে মাত্র এক জয় নিয়ে আতলেতিকোর মুখোমুখি হয় লেভান্তে। অথচ প্রথমার্ধে লেভান্তেকেই দাপিয়ে খেলতে দেখা গেল। গোলের সুযোগও পেয়েছিল দলটি।
ডিয়েগো সিমিওনের দল প্রথমার্ধে গোলপোস্ট তাক করে কোনো শট নিতে পারেনি। গোটা ম্যাচে লেভান্তের ৫ শটের বিপরীতে আতলেতিকোর ১টি শট নেওয়াই বলে দেয় ৩ পয়েন্টের যোগ্য কোন দল।
চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মুখোমুখি হওয়ার সাত দিন আগে এই হার দুশ্চিন্তার জন্ম দেবে আতলেতিকো শিবিরে। ২৪ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে সিমিওনের দল। শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ১৫ পয়েন্ট ব্যবধানে পিছিয়ে।
মজার বিষয়, ঘরের মাঠে বুধবারে অনুষ্ঠিত সবশেষে ছয়টি লিগ ম্যাচেই জিতেছে আতলেতিকো। আজ তাঁদের সে ধারায় ছেদ পড়ল এমন এক দলের কাছে হারে, যাঁরা একই দিনে প্রতিপক্ষের মাঠে খেলা সবশেষ ১০ ম্যাচের মধ্যে ষষ্ঠ জয় তুলে নিল।