লুকাকুর গোলে জয় চেলসির
দলে একজন পুরোদস্তুর স্ট্রাইকার থাকা যে কতটা দরকার, সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে চেলসি। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতলেও খাঁটি স্ট্রাইকারের অভাবে ভুগেছে দলটা। যতগুলো সুযোগ সৃষ্টি করত, তেমন গোল আসত না।
জার্মান তারকা টিমো ভেরনার বাঁ উইংয়ে খেলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন, ইংলিশ স্ট্রাইকার ট্যামি আব্রাহামের ওপর ভরসা ছিল কোচ টমাস টুখেলের। ওদিকে ফরাসি স্ট্রাইকার অলিভিয়ের জিরুর বয়স হয়ে যাচ্ছিল। ফলে, মিডফিল্ডার কাই হাভার্টজকে অনেক ম্যাচেই স্ট্রাইকার হিসেবে খেলিয়েছেন টুখেল। চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালেও। আর বোর্ডকর্তাদের বুঝিয়েছেন, স্ট্রাইকার দরকার তাঁর।
জিরু-আব্রাহাম দুজনকেই এবার বিক্রি করে দিয়েছে চেলসি। দলে এনেছে নিজেদেরই সাবেক স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকুকে। যে স্ট্রাইকারের ওপর আগে ভরসা করেনি চেলসি, ইন্টার মিলানে তাঁর বিধ্বংসী ফর্ম দেখে মুগ্ধ হয়ে সেই লুকাকুকেই স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ফিরিয়েছে দলটা। লুকাকুও বিশ্বাসের প্রতিদান দিচ্ছেন। লিগে তো নিয়মিত গোল করছেনই, এবার চ্যাম্পিয়নস লিগেও গোল করা শুরু করেছেন চেলসির হয়ে। এই নিয়ে মৌসুমে চার ম্যাচে চার গোল হয়ে গেল তাঁর।
লুকাকুর গোলে রাশিয়ান ক্লাব জেনিত সেইন্ট পিটার্সবার্গকে ১-০ গোলে হারিয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগের বর্তমান শিরোপাধারীরা। লুকাকুর গোলে সহায়তা করেছেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার সেজার আজপিলিকেতা। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে নিখুঁত এক ক্রস পাঠান ডি–বক্সে থাকা লুকাকুর উদ্দেশে। লুকাকুকে জেনিতের দুজন চোখে চোখে রাখলেও লাভ হয়নি। হেড করে দলকে এগিয়ে দিয়েছেন এই বেলজিয়ান।
এ নিয়ে ২০১৯-২০ মৌসুমের পর থেকে উয়েফা আয়োজিত প্রতিযোগিতায় ১৪ ম্যাচে ১৪ গোল করা হয়ে গেল লুকাকুর। একই সময়ে এই স্ট্রাইকারের চেয়ে বেশি গোল করেছেন শুধু বায়ার্ন মিউনিখের রবার্ট লেভানডফস্কি (২১), বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের আর্লিং হরলান্ড (২০) ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ব্রুনো ফার্নান্দেজ (১৭)। আজ ম্যাচসেরাও হয়েছেন লুকাকুই।
টমাস টুখেলের অধীনে এই চেলসিকে গোল দেওয়া ক্রমে কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আজ জেনিতও বুঝল সেটা। টুখেল আসার পর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৩ ম্যাচে গোলহীন থেকেছে চেলসি। একই সময়ে চেলসির চেয়ে বেশি অন্য কোনো দল গোলহীন থাকতে পারেনি। এর মধ্যে চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ ১৪ ম্যাচের ১০টাতেই গোলহীন থেকেছে চেলসি।