লিভারপুলকে কোনো সুযোগ দিচ্ছে না ম্যানচেস্টার সিটি
তিন ঘণ্টা আগেই লিগের শীর্ষস্থান বুঝে নিয়েছিল লিভারপুল। ২ পয়েন্টে এগিয়ে গেছে প্রতিপক্ষ। ওদিকে ম্যানচেস্টার সিটির ম্যাচ লিডস ইউনাইটেডের মাঠে। এখন পথ হারালেও দলটির ঘরের মাঠ ম্যানচেস্টারের কোনো দলের জন্য বিপজ্জনক। লিডসের দর্শকের মতো একগুঁয়ে সমর্থক গোষ্ঠী যে ইংলিশ সমর্থকদের মধ্যেও কম দেখা যায়। কিন্তু লিডসকে পাত্তাই দেয়নি ম্যানচেস্টার সিটি। ঘরের মাঠে ৪-০ গোলে হেরে অবনমনের শঙ্কায় পড়ে গেছে লিডস। ওদিকে আবার শীর্ষে ম্যানচেস্টার সিটি।
৩৪ ম্যাচ শেষে ৮৩ পয়েন্ট সিটির। ৮২ পয়েন্ট নিয়ে তাদের ঘাড়ের ওপর নিশ্বাস ফেলছে লিভারপুল।
ম্যাচের প্রথমার্ধ মনে করিয়েছিল আজ কঠিন পরীক্ষা দেবে সিটি। ১৩ মিনিটে সিটি এগিয়ে যাওয়ার পরও। ফিল ফোডেনের ফ্রি কিক থেকে হেডে গোল করেছেন মিডফিল্ডার রদ্রি। কিন্তু এতেও হাল ছাড়েনি লিডস। সমর্থকেরা গ্যালারিতে সরব ছিলেন, খেলোয়াড়দের উৎসাহ দিয়ে গেছে। লিডসের খেলোয়াড়েরাও ভয়ডরহীন ফুটবল খেলেছে। মনে হচ্ছিল মার্সেলো বিয়েলসা চলে গেলেও তাঁর ফুটবলের ছাপ এখনো রয়ে গেছে দলটির মাঝে। প্রথমার্ধে গোল না পেলেও সিটিকে নাচিয়েছে দলটি।
দ্বিতীয়ার্ধে আর পেরে ওঠেনি লিডস। বিয়েলসার অধীনে শেষ দিকে যা হয়েছিল, সেটা স্মিত পরিসরে আজকের ম্যাচেও দেখা গেল। ক্লান্ত হয়ে ওঠা দলটি এরপর ধীরে ধীরে খেই হারিয়েছে। ৫৪ মিনিটে নাথান একের গোলের পর আবার জেগে উঠেছিল দলটি। সমর্থকেরা তখনো শোর তুলেছেন, গলাবাজি করেছেন। কিন্তু সিটির স্কোয়াডের সঙ্গে পেরে ওঠেনি লিডস। ৭৮ মিনিটে ফর্মে থাকা গ্যাব্রিয়েল জেসুস গোল করলেন। এ নিয়ে টানা তৃতীয় ম্যাচে গোল পেলেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার।
যোগ করা সময়ে লিডসের কষ্ট বাড়িয়েছেন ফার্নান্দিনিও। ৩৪ ম্যাচে শেষে ৩৪পয়েন্ট লিডসের। ১৮তম দল এভারটনের চেয়ে এখনো ৫ পয়েন্ট এগিয়ে তারা। কিন্তু এভারটনের হাতে দুই ম্যাচ বাকি আছে।