লাভ হলো রাগ দেখিয়ে, আর্জেন্টিনা দলে ফিরলেন দি মারিয়া
ঘটনাটা গত মাসের। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইকুয়েডর ও বলিভিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচের জন্য ঘোষিত আর্জেন্টিনা স্কোয়াডে জায়গা পাননি আনহেল দি মারিয়া। পিএসজি উইঙ্গার কেন জায়গা পেলেন না, সেটির কোনো কারণ দেখাতে পারেননি কেউই। দি মারিয়া ব্যাপারটিতে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। দু-এক কথা শুনিয়ে দিয়েছিলেন কোচ লিওনেল স্কালোনিকে।
শঙ্কা দেখা দিয়েছিল তিনি আবার অবসর নিয়ে বসেন কিনা! স্কালোনি এতটাই চাপে পড়েছিলেন সে সিদ্ধান্তের কারণে যে সাদা ঝান্ডা উড়িয়ে আশ্বস্ত করেন ডি মারিয়া তাঁর পরিকল্পনায় খুব ভালো করেই আছেন। এ মাসে আবারও বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনা মাঠে নামবে পেরু আর প্যারাগুয়ের বিপক্ষে। এবার ডাক পেলেন মারিয়া। রাগ দেখিয়ে তাহলে এবার কাজ হয়েছে!
দি মারিয়া দলে থাকলেও ডাক পাননি সার্জিও আগুয়েরো। চোটের কারণে মাঠের বাইরে থাকা এই তারকার জায়গায় তারুণ্যে আস্থা রেখেছেন স্কালোনি। আর্জেন্টাইন ক্লাবে খেলেন, এমন কাউকেই এই দলে রাখা হয়নি। ফলে বাদ পড়েছেন নিয়মিত গোলরক্ষক, রিভার প্লেটে খেলা ফ্রাঙ্কো আরমানি। দলে ডাক না পাওয়া অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন ভিয়ারিয়ালের সেন্টারব্যাক হুয়ান ফয়থ, ফিওরেন্তিনার জের্মান পেৎসালা। দলে আর তেমন কোনো চমক নেই।
গতবার মনে করা হয়েছিল, হয়তো বুড়িয়ে যাচ্ছেন দেখে দলে ডাক পাননি দি মারিয়া। আগামী বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই তরুণদের ওপর আস্থা রাখতে শুরু করেছেন স্কালোনি। কিন্তু দলে দি মারিয়ার চেয়েও বেশি বয়সী লিওনেল মেসি ও ডিফেন্ডার নিকোলাস ওতামেন্দি থাকার কারণে দল নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন রেখেছিলেন দি মারিয়া, ‘৩২ বছর বয়সেই আমি বুড়ো? ৩২ বছর বয়সেই যদি সবার বিকল্প খোঁজা শুরু হয় তাহলে সেটা সবার ক্ষেত্রেই করা হোক। মেসি, ওতামেন্দি—আরও যারা এই বয়সে শীর্ষ পর্যায়ে খেলে যাচ্ছে তাদের ক্ষেত্রেও করা হোক। আমি দলে না থাকলে তাদেরও একই কারণে থাকা উচিত নয়। পিএসজি আমাকে জাতীয় দলে খেলার জন্য সব রকম সুযোগ করে দেয়। তাই আমার বুঝতে অনেক কষ্ট হচ্ছে, যে সুস্থা থাকার পরেও কেন আমাকে ডাকা হচ্ছে না। তাঁরা যেহেতু আমাকে ডাকছে না, তার একটাই অর্থ হতে পারে, তাঁরা আমাকে চায় না দলে। তাও আমি জায়গা পাওয়ার জন্য লড়ে যাব।’
লড়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে যে লাভ হয়েছে, সেটা এখন দি মারিয়ার চেয়ে ভালো আর কে-ই বা জানেন?
২৫ সদস্যের ঘোষিত আর্জেন্টিনা দল :
এমিলিয়ানো মার্তিনেজ (গোলরক্ষক, অ্যাস্টন ভিলা)
অগুস্তিন মার্চেসিন (গোলরক্ষক, এফসি পোর্তো)
নেহুয়েন পেরেজ (ডিফেন্ডার, গ্রানাদা)
নিকোলাস ওতামেন্দি (ডিফেন্ডার, বেনফিকা)
ফাকুন্দো মেদিনা (ডিফেন্ডার, লেঁস)
লুকাস মার্তিনেজ কার্তা (ডিফেন্ডার, ফিওরেন্তিনা)
নিকোলাস তালিয়াফিকো (ডিফেন্ডার, আয়াক্স)
ওয়াল্টার কানেমান (ডিফেন্ডার, গ্রেমিও)
রদ্রিগো দি পল (মিডফিল্ডার, উদিনেসে)
মার্কোস আকুনিয়া (মিডফিল্ডার, সেভিয়া)
নিকোলাস দমিঙ্গেজ (মিডফিল্ডার, বোলোনিয়া)
রবের্তো পেরেইরা (মিডফিল্ডার, উদিনেসে)
আলেহান্দ্রো গোমেজ (মিডফিল্ডার, আতালান্তা)
আনহেল দি মারিয়া (মিডফিল্ডার, পিএসজি)
লুকাস ওকাম্পোস (মিডফিল্ডার, সেভিয়া)
লিয়ান্দ্রো পারেদেস (মিডফিল্ডার, পিএসজি)
এজেকিয়েল পালাসিওস (মিডফিল্ডার, বায়ার লেভারকুসেন)
জিওভানি লো চেলসো (মিডফিল্ডার, টটেনহাম হটস্পার)
গিদো রদ্রিগেজ (মিডফিল্ডার, রিয়াল বেতিস)
লুকাস আলারিও (স্ট্রাইকার, বায়ার লেভারকুসেন)
লিওনেল মেসি (স্ট্রাইকার, বার্সেলোনা)
পাওলো দিবালা (স্ট্রাইকার, জুভেন্টাস)
হোয়াকিন কোরেয়া (স্ট্রাইকার, লাৎসিও)
নিকোলাস গঞ্জালেজ (স্ট্রাইকার, ভিএফবি স্টুটগার্ট)
লাওতারো মার্তিনেজ (স্ট্রাইকার, ইন্টার মিলান)