লাওতারো মার্তিনেজ জেতালেন আর্জেন্টিনাকে
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আজকের ম্যাচে নিজেদের মাঠে পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। গোল করেছেন ইন্টার মিলানের স্ট্রাইকার লাওতারো মার্তিনেজ। লিওনেল মেসি গোল না করতে পারলেও খেলেছেন দুর্দান্ত। এই জয়ের মাধ্যমে কাতার বিশ্বকাপে খেলার দাবিটা আরেকটু জোরালো করল আর্জেন্টিনা।
নিজের খেলা শেষ ৮ ম্যাচে এই নিয়ে ৬ গোল করলেন লাওতারো মার্তিনেজ। যে কাজটা হিগুয়েইন বা আগুয়েরো করতে পারেননি বছরের পর বছর, লাওতারোর কল্যাণে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে সে গোল করার কাজটা কতই না সহজ মনে হচ্ছে!
পেরুর বিপক্ষে যথারীতি ৪-৩-৩ ছকে মাঠে নামে আর্জেন্টিনা। ম্যাচটা আর্জেন্টিনার ঘরের মাঠ মনুমেন্তালে হলেও অ্যাওয়ে জার্সি পরেন মেসিরা। গোলকিপার হিসেবে যথারীতি এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, তাঁর সামনে দুই সেন্টারব্যাক হিসেবে নামান হয় টটেনহাম হটস্পারের ক্রিস্টিয়ান রোমেরো ও বেনফিকার বর্ষীয়ান ডিফেন্ডার নিকোলাস ওতামেন্দিকে। রাইটব্যাকে গঞ্জালো মন্তিয়েল নয়, বরং খেলানো হয় উদিনেসের নাহুয়েল মলিনাকে। লেফটব্যাক হিসেবে চোট থেকে ফেরা সেভিয়ার মার্কোস আকুনিয়াকে খেলানো হয়, আয়াক্সের নিকোলাস তালিয়াফিকোর জায়গায়।
গত ম্যাচে দুর্দান্ত খেলার পুরষ্কার পেয়েছেন জোভান্নি লো সেলসো। লিয়ান্দ্রো পারেদেস ও রদ্রিগো দি পলের পাশাপাশি টটেনহামের এই মিডফিল্ডার ছিলেন মূল একাদশে। আক্রমণভাগে যথারীতি অধিনায়ক লিওনেল মেসির সঙ্গে নেমেছেন লাওতারো মার্তিনেজ ও আনহেল দি মারিয়া।
প্রথম থেকেই আক্রমণ করে খেলা শুরু করে আর্জেন্টিনা। মাঝমাঠে নিজের কর্তৃত্ব দেখানো শুরু করেন দি পল। ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই দি পল আর দি মারিয়া বক্সের উদ্দেশ্যে ক্রস বাড়ান, কিন্তু কেউ সেটা আয়ত্বে নেওয়ার জন্য বক্সে ছিলেন না। কিছুক্ষণ পর পেরুর স্ট্রাইকার জিয়ানলুকা লাপাদুলা একটা ফ্রি-কিক পেলেও সেখান থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন।
রদ্রিগো দি পলের ক্রসে গোল করার সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। তবে অফসাইডের কারণে সে গোলটা বাতিল হয়ে যায়। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার একটু আগে নিজেদের ভালো খেলার পুরষ্কার পায় আর্জেন্টিনা। ৪২ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে রাইটব্যাক নাহুয়েল মলিনার ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে দুর্দান্তভাবে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ইন্টার মিলানের স্ট্রাইকার লাওতারো মার্তিনেজ।
কোচ লিওনেল স্কালোনির অধীনে অসাধারণ খেলছেন লাওতারো মার্তিনেজ। ৩৩ ম্যাচে এই নিয়ে ১৭ গোল করা হয়ে গেল তাঁর। স্কালোনির অধীনে কোন স্ট্রাইকার এত বেশি গোল করেননি। আদর্শ স্ট্রাইকারের মতো স্কালোনির চিন্তা দূর করছেন এই ইন্টার তারকা।
গোটা ম্যাচেই দুর্দান্ত খেলেছেন দি পল। কী আক্রমণ, কী রক্ষণ - দুদিকেই দেখা গেছে তাঁকে। মলিনাও বুঝিয়েছেন নিজের গুরুত্ব।
তবে এই ভালো খেলার পুরষ্কার আরেকটু হলেই হারাতে বসেছিল আর্জেন্টিনা। ৬৬ মিনিটে হুট করে একটা পেনাল্টি পেয়ে বসে পেরু। কিন্তু দলের মিডফিল্ডার ইয়োশিমার ইয়োতুন সেই পেনাল্টি লাগান ক্রসবারে। গোল আর জোটেনি পেরুর কপালে।
এই আন্তর্জাতিক বিরতিতে তিন ম্যাচ খেলে সাত পয়েন্ট জোগাড় করল আর্জেন্টিনা। ১১ ম্যাচে মোট ২৫ পয়েন্ট নিয়ে বাছাইপর্বের তালিকায় এখনো দ্বিতীয় স্থানে আছেন মেসিরা। শীর্ষে যথারীতি ব্রাজিল, যারা এখন খেলছে উরুগুয়ের বিপক্ষে।