রোনালদোর জেলখাটা সতীর্থ এবার ধর্ষণ মামলায় আটক
রুবেন সেমেদো নামটি এ মৌসুমে আবার আলোচনায় এসেছিল। ক্লাবকে ছোটখাটো পর্তুগিজ দল বানিয়ে ফেলা উলভারহ্যাম্পটন এই পর্তুগিজ ডিফেন্ডারকেও কিনতে চেয়েছিল। সে পরিকল্পনা বেশি দূর এগোয়নি তাঁর অতীতের কারণে। অতীত পাপ তাঁর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ-যাত্রায় বাধা হয়েছিল।
মৌসুম শুরু হওয়ার পর সে আলোচনা একটু আড়ালে চলে গিয়েছিল। কিন্তু রুবেন সেমেদো বলে কথা। নতুন করে আবার বিতর্কে জড়িয়েছেন এই সেন্টারব্যাক। ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। সে অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে গ্রিসের পুলিশ।
২৭ বছর বয়সী সেমেদোর ২০২০ সালে জাতীয় দলে অভিষেক। স্পেনের বিপক্ষে অভিষেকের পুরো সময়েই মাঠে ছিলেন। খেলেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে। এর আগেই অবশ্য তাঁর গায়ে ডাকাতি, অপহরণের মতো বড় সব অপরাধের দাগ লেগেছে। ২০১৯ সালে এসব অপরাধের দায় মেনে নিয়ে তিনি স্পেন ছেড়ে গ্রিসে চলে যান। সেখানেও বিতর্ক এড়াতে পারলেন না সেমেদো।
অপ্রাপ্তবয়স্ক এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সেমেদোর বিপক্ষে। বর্তমানে গ্রিক ক্লাব অলিম্পিয়াকোসে খেলা এই ডিফেন্ডারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সেই কিশোরী। কর্তৃপক্ষ দেরি না করে দ্রুত তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।
এ ব্যাপারে বাদীর অভিযোগ, ফুটবলারের বাসায় এ ঘটনা ঘটেছিল। ওরোপোস শহরে একবার সেমেদোর সঙ্গে দেখা হয়েছিল তার। সেখানে দুজনে পান করছিলেন। মেয়েটি দাবি করেছে, তাকে জোর করে মদ্যপ বানিয়েছেন সেমেদো। এরপর মাতাল অবস্থায় তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে কুকর্মটি করেছেন তিনি। গ্রেপ্তার ফুটবলারকে আজ কৌঁসুলির সামনে আনা হবে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু জানা যায়নি।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে প্রথম সেমেদোর অন্য কুকীর্তির ব্যাপারে জানা যায়। সেখানে ২০১৭ সালের নভেম্বরে ভ্যালেন্সিয়ার একবারের ঘটনা নিয়ে আদালতে যেতে হয়েছিল তাঁকে। সেখানে নাকি পিস্তল বের করে হুমকি দিয়েছিলেন সেমেদো। এরপর আরেকটি ভিন্ন ঘটনায় ২০ ফেব্রুয়ারি আবার গ্রেপ্তার হয়েছেন সেমেদো। এবারের অভিযোগ আরও গুরুতর। এক ব্যক্তিকে দুজন সহযোগীসহ ঘরের মধ্যে আটকে রাখা এবং অত্যাচার করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এরপর আবার ভুক্তভোগীর বাসায় গিয়ে চুরিও করেছিলেন।
এ ঘটনায় হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়েছিল। ১৩ জুলাই জামিন নিয়ে জেল থেকে বের হন এই ফুটবলার। ২ বছর পর সাড়ে ১৫ বছরের জেল খাটার শাস্তির মুখে অপহরণ, ডাকাতি, আহত করা ও বেআইনি অস্ত্র রাখার মতো সব অভিযোগ মেনে নিয়ে আবার জরিমানা দেন। শাস্তি হিসেবে তাঁকে স্পেন থেকে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। ভিয়ারিয়াল থেকে এর মধ্যেই অলিম্পিয়াকোসে চলে গেছেন সেমেদো।
এ মৌসুমে ভাগ্য তাঁর পক্ষে ফিরছে বলে মনে হয়েছিল। উলভারহ্যাম্পটন বেশ করে তাঁকে পেতে চাইছিল। কিন্তু তাঁর অপরাধের ইতিহাস দেখে লিগ কর্তৃপক্ষ সে চেষ্টায় বাধ সেধেছিল। তাঁকে ইংল্যান্ডে ঢোকার অনুমতি আর দেওয়া হয়নি।