রোনালদো হেরে যাচ্ছেন ইমোবিলের কাছে?
তবে কি চিরো ইমোবিলের কাছে হেরেই যেতে বসেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো? গত রাতে জুভেন্টাসের টানা নবম সিরি ‘আ’ জেতার মুহূর্তটা উদ্যাপন করেছেন গোল করে। লিগে ৩১ গোল করে ৮৬ বছরের পুরোনো রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন। কিন্তু ইউরোপীয় ‘গোল্ডেন শু’ নিজের করে নেওয়ার লড়াইয়ে যে পিছিয়ে পড়েছেন লাৎসিও তারকার কাছে! ভেরোনার বিপক্ষে ইমোবিল হ্যাটট্রিক করেছেন, দল জিতেছে ৫–১ গোলে।
এ মুহূর্তে গোল্ডেন শু’য়ের লড়াইটা দারুণ জমে উঠেছে বায়ার্ন মিউনিখ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডোফস্কি, লাৎসিওর ইমোবিল আর জুভেন্টাসের রোনালদোর মধ্যে। মৌসুমে প্রথম দুজনের দুজনের গোলই ৩৪। রোনালদোর গোল ৩১। তবে রেটিং পয়েন্টে পর্তুগিজ স্ট্রাইকার লেভানডোফস্কি (৬৮) আর ইমোবিলের (৬৮) চেয়ে বেশ কিছুটা পিছিয়ে আছেন। রোনালদোর পয়েন্ট ৬২।
এ বছর আবারও রোনালদো আর লিওনেল মেসির বাইরে ইউরোপীয় গোল্ডেন শু জেতার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ভিন্ন কোনো তারকার। সর্বশেষ দুই মহাতারকার বাইরে এ পুরস্কারটি জিতেছিলেন লুইস সুয়ারেজ। ২০১৩–১৪ মৌসুমে রোনালদোর সঙ্গে যৌথভাবে আর ২০১৫–১৬ মৌসুমে এককভাবে এটি জিতেছিলেন উরুগুইয়ান তারকা। এর বাইরে এ পুরস্কারে রোনালদো–মেসির যেন একচ্ছত্র অধিকার। মেসি জিতেছেন সবমিলিয়ে ৬বার, রোনালদো ৪ বার।
গোল্ডেন শু’য়ের রেটিংয়ে ইতালীয় সিরি ‘আ’য় প্রতি গোলের জন্য পয়েন্ট ২। লাৎসিওর হয়ে এখনো দুটি ম্যাচ বাকি ইমোবিলের। কাল তিনি ভেরোনার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন ৩১ গোল নিয়ে। অতিরিক্ত সময়ে হ্যাটট্রিক করে লেভানডোফস্কিকে ছুঁয়ে ফেলেন তিনি।
ইমোবিলের সামনে আরও একটি সুযোগ হাতছানি দিচ্ছে। সেটি সিরি ‘আ’তে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ড। সর্বোচ্চ ৩৬ গোল করতে হবে, সেটি করতে হলে। ওই রেকর্ড আছে কেবল গঞ্জালো হিগুয়েইন ও জিনো রোজেত্তির।
রোনালদোর কি কোনো সুযোগই নেই! কাল পেনাল্টি মিস করেছেন সাম্পদোরিয়ার সঙ্গে। সেটি না হলে তাঁর গোল হতো ৩২। ইমোবিল যদি বাকি দুই ম্যাচে গোল না পান, আর জুভেন্টাসের শেষ দুই ম্যাচে যদি (ক্যালিয়ারি আর রোমার বিপক্ষে) যদি বড় কিছু ঘটিয়ে ফেলেন রোনালদো—গোল্ডেন শু’টা যাবে তাঁর ঘরেই।
শেষ পর্যন্ত কী হয়, সেটি দেখতে অপেক্ষাটা কিন্তু বেশ উপভোগ্যই।