রিয়ালের বিপক্ষে পিএসজির জন্য মরতেও রাজি রামোস
কত কিছুই না দেখাল ফুটবল!
কয়েক মাস আগেই যে ঘটনাকে অবিশ্বাস বলে মনে হতো, বিচিত্র দলবদলের গেরোয় আজ সেটাই বাস্তব। একসময় রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের ছেলেই ছিলেন রামোস। ছিলেন দলটার অধিনায়কও। রিয়ালের জন্য মাঠে সর্বস্ব নিংড়ে দেওয়া সেই নেতা এখন পিএসজির। সেখানে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছেন লিওনেল মেসিকে। চরম প্রতিপক্ষ থেকে মেসি এখন তাঁর পরম বন্ধু। এখানেই চমকের শেষ নয়; যে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলে নাম কামিয়েছেন, ভাগ্যের পরিহাসে ক্লাব ছাড়ার পরপরই সেই রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে খেলতে হবে রামোসকে!
চ্যাম্পিয়নস লিগের কল্যাণে এই দিন দেখার সুযোগ মিলছে ফুটবলভক্তদের। যেখানে লিওনেল মেসির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রামোসকে দেখা যাবে কাসেমিরো, মদরিচ, বেনজেমাদের সঙ্গে লড়াই করতে। কিন্তু রামোসের নিজের কেমন লাগছে? যে ক্লাবটাকে এত ভালোবেসেছেন, সে ক্লাবের বিপক্ষে নতুন ক্লাবের হয়ে রামোস কীভাবে শতভাগ দিতে পারবেন?
কিন্তু রামোস পুরোপুরি পেশাদার। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, পেশাদারির ময়দানে আবেগ-ভালোবাসার জায়গা নেই। জানিয়েছেন, রিয়ালের বিপক্ষে পিএসজির হয়ে মরতেও রাজি তিনি!
কথাগুলো রামোসের মুখ থেকেই শোনা যাক, ‘আমি যখন প্লেনে চাপলাম, তখন শুনলাম আমরা প্রতিপক্ষ হিসেবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে পেয়েছি। প্রতিপক্ষ হিসেবে তাদের আমি বেশ পছন্দ করি। কিন্তু পরে দেখা গেল তা বাতিল হয়ে গিয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদকে না পেলেই খুশি হতাম। কিন্তু সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ফেরার ব্যাপারটা আনন্দ দিচ্ছে। কারণ, আমি কোভিডের কারণে ঠিকভাবে বিদায় নিতে পারিনি। ভাগ্য অনেক অনিশ্চিতভাবে কাজ করে। অন্য কোনো দলের বিপক্ষে পড়লে খুশি হতাম। কারণ, সবাই জানে আমি রিয়াল মাদ্রিদকে কতটা ভালোবাসি।’
রিয়াল মাদ্রিদকে ভালোবাসলেও রামোস জানেন, পিএসজি তাঁর ওপর কতটা ভরসা করে, যে ভরসার প্রতিদান এখনো ঠিকঠাক দিতে পারেননি। ফ্রি দলবদলে কয়েক মাস আগে পিএসজিতে গেলেও বিভিন্ন চোটাঘাতে রামোসের অভিষেকই হয়েছে সম্প্রতি। তাই পিএসজিকে বাড়তি কিছু দেওয়ার একটা তাগিদ ভেতর থেকেই অনুভব করছেন তিনি, ‘আমি পিএসজিকে পরের রাউন্ডে নেওয়ার জন্য সবকিছু করব। তারা আমার ওপর ভরসা রেখেছে। আমি এখন তাদের জন্য মরতেও রাজি।’
কথাগুলো রিয়াল–সমর্থকদের মনে শেল হয়ে বিঁধবে নিশ্চিত!