রিয়ালকে চার গোল দিয়েই পিকে-শাকিরার হুংকার
প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, জেরার্ড পিকে কি তবে ডাগআউটে নিজের ফোন রেখে দেন, যাতে ম্যাচ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টুইট করতে পারেন?
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতি স্প্যানিশ এই সেন্টারব্যাকের আকর্ষণের বিষয়টি নতুন নয়। ম্যাচের আগে, পরে, অনুশীলনের সময়, সতীর্থদের নিয়ে যখন সময় পান, নিয়মিত টুইটারে লেখালেখি করেন পিকে। বার্সা জিতলে বড় মুখ করে লেখা টুইটগুলোতে ফুটে ওঠে অহংকারের ছাপ। ম্যাচ হারলে আবার সেসব টুইট নিয়েই ফুটবলপ্রেমীদের ট্রলের শিকার হন।
সেই পিকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে বিরাট জয় পাওয়ার পর চুপ থাকবেন, তা কী করে হয়? গত রাতে রিয়ালের মাঠে গিয়ে চার গোল দিয়ে এসেছে বার্সেলোনা। ম্যাচ শেষ হতে না হতেই দেখা গেল, পিকের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে একটি টুইট—‘আমরা ফিরে এসেছি (উই আর ব্যাক)!’
বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা ৫৬ মিনিটে পিকে করেছেন এই টুইট। যোগ করা সময় মিলিয়ে ম্যাচ শেষ হয়েছে ৩টা ৪৮ মিনিটে। আট মিনিটের মধ্যে পিকের হুংকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলে আসার অর্থ এটাই, হয়তো পিকের ফোন ডাগআউটেই ছিল! চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে এমন মহার্ঘ জয় পাওয়ার পর টুইট করতে পিকের তর সয়নি আর!
এ রকম টুইট করে উল্টো জনরোষের শিকার কম হননি পিকে। তাতে পিকের বয়েই গেছে! তাঁর টুইট করায় ছেদ পড়েনি কোনো। ২০১৭ সালে প্রথম যখন নেইমার বার্সেলোনা পিএসজিতে যাবেন—এমন এক গুঞ্জন উঠল, তখনো টুইট করে সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছিলেন। নেইমার বার্সেলোনায় থাকবেন, এমন আশাবাদ নিয়ে লেখা ‘সে কেদা’ টুইটটির কথা কেই-বা ভুলতে পারেন! ‘সে কেদার’ অর্থ, ‘ও থাকছে।’ আশাবাদী পিকে ভেবেছিলেন, নেইমার থেকে যাবেন কাতালানপাড়ায়। টুইট করার কয়েক দিন পরই নেইমার পাড়ি জমান পিএসজিতে।
শুধু কি পিকে? সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পিকের সঙ্গী শাকিরাও বেশ সরব থাকেন। কাল ৪-০ গোলের বিশাল জয় উদ্যাপন করেছেন বেশ আওয়াজ তুলেই। শাকিরার কথা আবার ফুটে উঠেছে চোট নিয়েও পিকের খেলে যাওয়ার ব্যাপারটা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই পপতারকা লিখেছেন, ‘জেরার্ড আমাকে কখনো এসব বলতে দেবে না, কিন্তু ওর পক্ষেই সম্ভব এমন বীরত্ব দেখিয়ে চোট-যন্ত্রণার মধ্যেও এভাবে খেলে যাওয়া। সে আমার সঙ্গী বলেই নয়, সে বিশ্বের সেরা সেন্টারব্যাক! আমি বলে দিলাম!’
এখন তো পিকে-শাকিরাদেরই দিন!