রিয়াল এমবাপ্পেকে না পাওয়ায় বার্সার সমর্থকদের নেচে–গেয়ে আনন্দ প্রকাশ
কারও সর্বনাশ, কারও পৌষ মাস! রিয়াল মাদ্রিদ, কিলিয়ান এমবাপ্পে, পিএসজি—দলবদলের এই ত্রিভুজপ্রেমে শেষ পর্যন্ত সর্বনাশ হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের। আর পৌষ মাস বা জয় শেষাবধি পিএসজিরই হয়েছে। রিয়ালের সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত এমবাপ্পেকে প্যারিসে রাখতে পেরেছে ফ্রান্সের চ্যাম্পিয়ন দলটি।
কিন্তু এমবাপ্পেকে পাওয়ার লড়াইয়ে রিয়াল হেরে যাওয়ায় আরেকটা পক্ষ বেশ খুশি। রিয়ালের সর্বনাশে পৌষ মাস যেন তাদেরও! এ পক্ষ রিয়ালের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার গোঁড়া সমর্থকগোষ্ঠী। রিয়ালের কাছ থেকে এমবাপ্পে হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার উপলক্ষটা রাস্তায় নেমে নেচে-গেয়ে উদ্যাপন করেছেন তাঁরা।
সারা বছর এমবাপ্পেকে পাবেন ভেবেই কেটেছে রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ আর রিয়ালের সমর্থকদের। কিন্তু একেবারে শেষ বেলায় এসে আর পাওয়া হলো না। আশায় আশায় দিন কাটানোর পর আশা পূরণ না হওয়ার কষ্ট যেন জেঁকে বসেছে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে।
এর মধ্যেই আবার তাঁদের দেখতে হচ্ছে পিএসজির সমর্থকদের উচ্ছ্বাস। এমবাপ্পেকে ধরে রাখতে পারার আনন্দে মাতোয়ারা পার্ক দে প্রিন্সেস। এমন উচ্ছ্বাস তো তাঁরা করবেনই। ঘরের ছেলেকে ঘরে রাখতে পারার আলাদা একটা আনন্দ আছে না!
পিএসজির উচ্ছ্বাসটাও না হয় হজম করা যায় রিয়ালের পক্ষে! প্রতিপক্ষ কোনো লড়াইয়ে জিতলে আনন্দ তো করবেই। কিন্তু এমবাপ্পেকে না পাওয়ার হতাশার মধ্যে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার সমর্থকদের উচ্ছ্বাসটা কীভাবে হজম করবে রিয়াল!
রিয়াল মাদ্রিদ সেটা হজম করতে পারুক আর না পারুক, উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছেন বার্সেলোনার অনেক সমর্থক। বার্সেলোনা শহরের রাস্তায় নেমে তারা নেচে নেচে গান ধরেছে, ‘দনদে এস্তা এমবাপ্পে, এমবাপ্পে দনদে এস্তা।’ এ দুটি স্প্যানিশ বাক্যের বাংলা করলে অর্থ দাঁড়ায় এ রকম,‘কোথায় গেল এমবাপ্পে, এমবাপ্পে কোথায়!’
এরই মধ্যে বার্সেলোনার সমর্থকদের এই নাচ-গান ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। রেডিও কোপের সাংবাদিক ভিক্তর নাভারোও ভিডিও পোস্ট করেছেন তাঁর টুইটারে। এসব দেখে এমবাপ্পেকে না পাওয়ার জ্বালাটা হয়তো দ্বিগুণ, তিন গুণ, চার গুণ...বহুগুণ হয়ে যাবে রিয়ালের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার!