রামোসের পর রিয়াল থেকে বিদায় নিলেন ভারানও
মৌসুম শেষ হওয়ার পর থেকে রিয়াল মাদ্রিদে সবকিছু কেমন যেন বদলে যাচ্ছে!
প্রথমে বিদায় নিলেন কোচ জিনেদিন জিদান। ক্লাবকর্তাদের আচরণে অসন্তুষ্ট হয়ে প্রিয় ক্লাবের দায়িত্ব ছাড়েন এই ফরাসি কিংবদন্তি। কিছুদিন পর রিয়াল সমর্থকদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে অধিনায়ক সের্হিও রামোস জানালেন, ক্লাবের হয়ে আর চুক্তি নবায়ন করবেন না তিনি। চলে গেলেন নেইমার-এমবাপ্পেদের পিএসজিতে। এবার জিদান-রামোসদের দেখানো পথ ধরে বার্নাব্যুকে বিদায় বললেন রামোসের রক্ষণসঙ্গী রাফায়েল ভারানও। তিনি যাচ্ছেন ইংল্যান্ডে, যোগ দিয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে।
রিয়াল সমর্থকদের তো রীতিমতো মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার দশা। একই সঙ্গে যে তাদের দুই সেন্টারব্যাককে হারাতে হবে, সেটি বোধ হয় স্বপ্নেও ভাবেননি তাঁরা। কিন্তু ঘটেছে সেটিই। ভারান ক্লাব ছাড়তে পারেন, এমন গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত সত্যি সত্যিই যে তিনি তা করবেন, সেটি ভাবেননি অনেকেই। শঙ্কা থাকলেও সেটি ধীরে ধীরে বাস্তবে পরিণত হয়েছে।
ভারান নতুন চ্যালেঞ্জ চাইছেন। এ কারণে রিয়ালের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি বাড়াতে চাননি। রিয়ালের সঙ্গে তাঁর চলতি চুক্তির মেয়াদ ছিল আর মাত্র এক বছর। ভারান ইউনাইটেডের সঙ্গে বেতন নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছে গিয়েছিলেন আগেই। তবে রিয়ালের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করে ক্লাব ছাড়তে চাননি। ২০১১ সালে রিয়ালে যোগ দিয়েছিলেন। রিয়াল তাঁকে বুঝেছে। তাঁকে ছেড়ে দিয়েছে।
চার বছরের জন্য ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছেন ভারান। ইউনাইটেড চাইলে চুক্তি বাড়িয়ে পাঁচ বছরও করতে পারে। ভারানকে পেতে মাত্র ৩ কোটি ৪০ লাখ পাউন্ড খরচ হচ্ছে ইউনাইটেডের। দুই ক্লাবই আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে এই দলবদলের কথা। ১০ বছরে রিয়ালের হয়ে মোট ১৮টি ট্রফি জিতেছেন এই বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি সেন্টারব্যাক।
মজার ব্যাপার হলো, ফরাসি ক্লাব লেঁস থেকে ভারান ২০১১ সালে যখন রিয়ালে নাম লেখান, তখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও তাঁর ব্যাপারে আগ্রহী ছিল। এমনকি ভারান ইউনাইটেডে যাবেন, সেটিই তখন মোটামুটি নিশ্চিত ছিল। কিন্তু রিয়ালে সে সময় বিশেষ পরামর্শকের ভূমিকায় থাকা জিনেদিন জিদান সব হিসাব পাল্টে দেন। স্বদেশি ভারানকে বুঝিয়ে নিয়ে আসেন বার্নাব্যুতে। এরপর জিদান-ভারান মিলে রিয়ালে কী কী করেছেন, তা তো সবারই জানা।