যৌন হয়রানির অভিযোগে নেইমারের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করেছিল নাইকি
নাইকির শুভেচ্ছা দূত ছিলেন নেইমার। গত বছরের আগস্টে তাঁর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত এই ক্রীড়াসরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান।
তখন জানা গিয়েছিল, নতুন চুক্তি নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারায় দুই পক্ষ আলাদা হয়। কিন্তু কাল যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ জানিয়েছে নতুন তথ্য।
তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নেইমারের বিরুদ্ধে তদন্ত করছিল নাইকি। অভিযোগ ছিল, নাইকির এক কর্মীকে যৌন হয়রানি করেছেন পিএসজি তারকা।
সেই ঘটনা জানেন—এমন লোকের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালে নিউইয়র্কে নাইকির এক অনুষ্ঠানে এসেছিলেন নেইমার। তখন হোটেলে নিজের কামরায় জোর করে সেই কর্মীকে যৌন হয়রানি করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।
নিজের বন্ধু-বান্ধব ও সহকর্মীদের এ কথা বলেছেন সেই নারী কর্মী। ২০১৮ সালে এ নিয়ে অভিযোগ করেন তিনি। পরের বছর বাইরের একটি আইনি প্রতিষ্ঠানকে এই অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দেয় নাইকি। তদন্ত চলাকালীন নাইকির বিপণন ও প্রচারে নেইমারকে আর দেখা যায়নি। শেষ পর্যন্ত গত বছর আনুষ্ঠানিকভাবে ১৫ বছরের সম্পর্কে ছেদ টানে দুই পক্ষ।
পরে আরেক ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান পিউমার সঙ্গে স্পনসর চুক্তি করেন নেইমার। তবে নেইমারের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের কারণ সে সময় জানায়নি নাইকি। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, দুই পক্ষ সম্পর্কচ্ছেদের আগে চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে ৮ বছর বাকি ছিল। সংবাদমাধ্যমটিকে দেওয়া বিবৃতিতে নাইকি জানিয়েছে, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কার্যক্রমে নেইমার সাহায্য করেননি বলে তাঁর পাশ থেকে সরে আসে প্রতিষ্ঠানটি।
নাইকির জেনারেল কাউন্সেল হিলারি ক্রেন এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, ‘বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুরু হওয়া তদন্ত কার্যক্রমে সাহায্য করতে নেইমার অস্বীকৃতি জানানোয় নাইকি তাঁর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে।’
এদিকে নেইমারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, নাইকির সঙ্গে পিএসজি তারকার চুক্তি বাতিলের কারণ যৌন হয়রানির অভিযোগ ছিল না, ‘এই ভিত্তিহীন অভিযোগ নিয়ে কোনো দাবি পেশ করা হলে নেইমার তা মোকাবিলা করবে। এখন পর্যন্ত অবশ্য সেরকম কিছুই ঘটেনি।’
বাণিজ্যিক কারণে নাইকি নেইমারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছিল বলে জানান সেই মুখপাত্র। ২০১৯ সালে নেইমারের বিরুদ্ধে একবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় সে বছরের আগস্টে অভিযোগটি খারিজ করে দেন আদালত।