যৌন নিগ্রহে জড়িত ছিলেন সাবেক বার্সা তারকা
ডেভিড ভিয়া এবং আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগটা তুলেছিলেন নিউইয়র্ক সিটি এফসির সাবেক এক নারী কর্মী। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শেষ করেছে ক্লাবটি। তদন্ত শেষে মেজর লিগ সকারের ক্লাবটি মনে করে, তাদের সাবেক স্ট্রাইকার ভিয়ার আচরণ ‘বেমানান এবং অগ্রহণযোগ্য’ ছিল। তবে ইএসপিএনের কাছে এ নিয়ে ক্লাবটির পাঠানো বিবৃতিতে বার্সেলোনার সাবেক স্ট্রাইকারের নাম সরাসরি উল্লেখ করেনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটি।
বার্সায় ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ছিলেন ভিয়া। কাতালান ক্লাবটিতে জিতেছেন লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগ। গোল করেছিলেন ২০১১ চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে। এরপর আতলেতিকো মাদ্রিদ ঘুরে ২০১৫ সালে নিউইয়র্ক সিটিতে যোগ দেন ভিয়া। ক্লাবটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোল ও ম্যাচ খেলার রেকর্ডও ভিয়ার। নিউইয়র্ক সিটি জানিয়েছে, তদন্তে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে তারা। অভিযুক্তদের মধ্যে শুধু একজনই এখন ক্লাবটির সঙ্গে আছেন। তাঁকে শাস্তিও দেওয়া হয়েছে। তবে ঠিক কী ধরনের শাস্তি দেওয়া হয়েছে, ক্লাবটি তা জানায়নি।
ইএসপিএনকে দেওয়া বিবৃতিতে নিউইয়র্ক সিটি জানিয়েছে, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে করা তদন্তে জানা গেছে, ইন্টার্ন এবং কিছু স্টাফের সঙ্গে কয়েক খেলোয়াড়সহ স্টাফের আচরণ ক্লাবের মান ও বিধি অনুযায়ী ছিল না। এর মধ্যে রয়েছে অপ্রয়োজনীয় শরীরী স্পর্শ, বিরক্ত করা এবং বেশভূষা নিয়ে মন্তব্য করা। ক্লাব মনে করছে, এটি বেমানান ও অগ্রহণযোগ্য।’ নিউইয়র্কের পক্ষ থেকে ভিয়ার নাম উল্লেখ করা না হলেও ইএসপিএনকে ক্লাবটির এক সূত্র তাঁর কথা নিশ্চিত করেছে। ৩৮ বছর বয়সী সাবেক এ স্ট্রাইকার নাকি সেই কর্মীকে অসংগতভাবে ছুঁয়েছেন। কর্মীটি ভিয়ার আচরণে অস্বস্তিবোধ করেছেন।
অভিযোগ ওঠার পর ভিয়া কিন্তু তা অস্বীকার করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’। পরে নিউইয়র্ক সিটির তদন্তে জড়িয়ে পড়ার খবর প্রকাশ করার পর সংবাদমাধ্যম যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে। ভিয়ার মুখপাত্র তাঁর মক্কেলের আগের অবস্থান থেকে এতটুকু না সরে বলেছেন, ‘ডেভিডের কাছে এ বিষয়গুলো খুবই গুরুতর এবং তদন্তে সে পূর্ণ সহযোগিতা করেছে। কিন্তু শুরু থেকেই সে বলে এসেছে, অভিযোগটি মিথ্যা।’ অভিযোগকারী সাবেক সেই কর্মীর সঙ্গে ইএসপিএন যোগাযোগ করলেও তিনি সাড়া দেননি।
ক্লাবের ট্রেনিং স্টাফে ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করেছিলেন সেই কর্মী। গত জুলাইয়ে অভিযোগ করেন তিনি। ভিয়া নাকি অসংগতভাবে তাঁর শরীর স্পর্শ করেছেন। অভিযোগে তিনি বলেছিলেন, এমন কোনো দিন নেই ভিয়া ‘আমাকে জড়িয়ে ধরেনি কিংবা মৌখিকভাবে নিগ্রহ করেনি, যদিও আমার নামটা জানতেও তাঁর কোনো আগ্রহ ছিল না’। নিউইয়র্ক সিটিতে কাজ করার অসুবিধা নিয়ে এর আগে টুইটও করেছিলেন সেই নারী। তবে ক্লাবটি জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পরই তারা তদন্ত শুরু করে। তদন্তে ৪০ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় এবং তাঁদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ছিলেন নারী।