যুক্তরাষ্ট্রের লিগের ‘অসম্মান’ ভালো লাগছে না রুনির
ছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড। ক্যারিয়ারের শেষ দিকে আর দশজন ‘বৃদ্ধ’ খেলোয়াড়ের মতো পাড়ি জমিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের এমএলএসে। ডেভিড বেকহাম, দাভিদ ভিয়া, স্টিভেন জেরার্ড, ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড, আন্দ্রেয়া পিরলো, কাকাদের মতো তিনিও যুক্তরাষ্ট্রের এক ক্লাবে ক্যারিয়ারের শেষ কিছুদিন খেলেছিলেন।
বলা হচ্ছিল ওয়েইন রুনির কথা। যুক্তরাষ্ট্রে ডিসি ইউনাইটেডের হয়ে বেশ কিছুদিন খেলেছিলেন রুনি। শুধু খেলেছিলেন বলাটা ভুল হবে, ছিলেন দলটার অধিনায়কও। এরপর আবারও ফিরেছিলেন ইংল্যান্ডে, দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব ডার্বি কাউন্টির হয়ে খেলার জন্য।
এখন অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ডিসি ইউনাইটেডের সঙ্গে রুনির সম্পর্ক তখনই শেষ হয়ে যায়নি। আবারও যুক্তরাষ্ট্রে ফিরছেন এই সাবেক ইংলিশ তারকা। তবে বদলেছে ভূমিকা। ডিসি ইউনাইটেডের সাবেক খেলোয়াড় রুনি এবার দলটার ফিরেছেন কোচ হয়ে। আনুষ্ঠানিকভাবে রুনির ফেরার খবর গতকালই জানিয়ে দিয়েছে ক্লাবটা।
ডার্বি কাউন্টির কোচ হিসেবে কিছুদিন আগেই পদত্যাগ করেছিলেন রুনি। ডার্বি এবার অবনমিত হলেও কোচ রুনি বেশ নাম কামিয়েছিলেন দলটার হয়ে। হয়তো চেষ্টা করলে ইংল্যান্ডেরই কোনো ক্লাবের কোচ হয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু ইংল্যান্ডে না থেকে আবারও ওয়াশিংটনের ক্লাব ডিসি ইউনাইটেডেই ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী ইংল্যান্ডের রেকর্ড গোলদাতা।
ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে ইংল্যান্ডে না থেকে আবারও যুক্তরাষ্ট্রে কেন ফিরছেন রুনি? প্রশ্নের জবাবে এমএলএসের প্রতি সম্মানই ঝরেছে এই সাবেক স্ট্রাইকারের কণ্ঠে, ‘আমি কিছু লেখা পড়েছি আমার যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার ব্যাপারে, যেখানে বলা হয়েছে ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার সিদ্ধান্তটা আমার ক্যারিয়ারের জন্য অবনমন। তবে আমি এমনটা বিশ্বাস করি না। আমার কাছে মনে হয়েছে এসব কথা বলে এমএলএসকে একটু অসম্মানই করা হচ্ছে।’ এর আগে ডিসি ইউনাইটেডের হয়ে ৪৮ ম্যাচ খেলে ২৩ গোল করেছিলেন রুনি, ১৫ গোলে সহায়তাও ছিল তাঁর।
তবে কোচিং করাতে রুনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরলেও তাঁর পরিবার যাচ্ছে না সে দেশে। রুনির স্ত্রী-সন্তানেরা থাকছেন ইংল্যান্ডেই। বিভিন্ন ছুটিছাঁটায় ইংল্যান্ডে ফিরবেন এই তারকা।