ম্যানসিটি থেকে আর্সেনালে গাব্রিয়েল জেসুস
কোচ মিকেল আরতেতার সঙ্গে ঝামেলা বাঁধিয়ে পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং আগেই পাড়ি জমিয়েছেন বার্সেলোনায়। ওদিকে আলেকসাঁদ্র লাকাজেতের সঙ্গেও চুক্তি শেষ, ফরাসি এই স্ট্রাইকার ফিরে গেছেন নিজের সাবেক ক্লাব লিওঁতে।
আর্সেনাল যে নতুন স্ট্রাইকার কিনবে, সেটা একরকম নিশ্চিতই ছিল। যে কারণে বিভিন্ন সময়ে বেনফিকার দারউইন নুনিয়েজ, রিয়াল সোসিয়েদাদের আলেকজান্ডার ইসাক, নাপোলির ভিক্টর ওসিমহেন, ব্রেন্টফোর্ডের ইভান টোনির সঙ্গে আর্সেনালকে জড়িয়ে অনেক কথাবার্তাই এসেছে গণমাধ্যমে।
কিন্তু লাকাজেত-অবামেয়াংয়ের ফেলে যাওয়া জায়গায় খেলানোর জন্য মিকেল আরতেতা প্রথম থেকেই একজনকে পছন্দ করে রেখেছিলেন। ম্যানচেস্টার সিটিতে পেপ গার্দিওলার সহকারী হিসেবে কাজ করা এই কোচ সিটির ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার গাব্রিয়েল জেসুস কি করতে পারেন–না পারেন, সে ব্যাপারে আগে থেকেই জানতেন।
আর্সেনালে এই জেসুসকে আনার জন্যই চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন শুরু থেকে। এমনিতেই সিটিতে নিয়মিত সুযোগ পেতেন না, এর ওপর আর্লিং হরলান্ড আর হুলিয়ান আলভারেজ আসার পর সিটির মূল একাদশে আদৌ খেলতে পারেন কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিলই। জেসুসকে ভালোভাবে চাইলেই পাওয়া যাবে, বিশ্বাস করেছিলেন আরতেতা।
সে বিশ্বাসই বাস্তবতায় রূপ নিচ্ছে। অবশেষে কোচের আশা পূরণ করছে আর্সেনাল কর্তৃপক্ষ।
সাড়ে চার কোটি পাউন্ডের বিনিময়ে সিটি থেকে এই ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারকে দলে আনছে আর্সেনাল। সাড়ে পাঁচ বছর আগে পালমেইরাস থেকে সিটিতে নাম লেখানো এই স্ট্রাইকার পাড়ি জমাচ্ছেন লন্ডনে। ২০২৭ সাল পর্যন্ত আর্সেনালের সঙ্গে চুক্তি করছেন জেসুস, এমনটাই জানিয়েছেন দলবদলবিষয়ক নির্ভরযোগ্য সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানো।
ব্রাজিলের হয়ে ২০১৬ সালে অভিষেক হওয়া এই স্ট্রাইকার ৫৬ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ১৯টি। সিটির হয়ে এই সাড়ে পাঁচ বছরে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৩৬ ম্যাচ খেলে ৯৫ গোল করেছেন এই ব্রাজিলিয়ান। সিটির হয়ে চারবার লিগ, চারবার লিগ কাপ ও একবার এফএ কাপ জিতেছেন তিনি। আক্রমণভাগের যেকোনো পজিশনেই খেলার যোগ্যতা রাখেন তিনি, যে কারণেই তাঁকে আরতেতার এত পছন্দ। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মৌসুমেই লিগে ১৪ গোলের বেশি করতে না পারা জেসুস কি আদৌ মূল স্ট্রাইকার হওয়ার হওয়ার যোগ্যতা রাখেন, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই।
সেসব প্রশ্ন থামিয়ে দেওয়ার কাজটা এখন জেসুসেরই।