মোহামেডানের বিরুদ্ধে ফিফায় নালিশ করবেন ইংলিশ কোচ
>দুই মাসের বেতন বকেয়া পড়েছে মোহামেডান কোচ ক্রিস্টোফার ইভান্সের। ব্যাপারটি ফিফাকে বলতে চান তিনি।
আবারও বোধ হয় মোহামেডানের স্পোর্টিংয়ের নামে নালিশ পড়তে যাচ্ছে ফিফার আদালতে। বেতন পরিশোধ না করায় দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটিকে এবার কাঠগড়ায় তুলতে চান ইংলিশ কোচ ক্রিস্টোফার ইভান্স।
কয়েক বছর ধরেই কোচ সমস্যায় হাবুডুবু খাচ্ছে মোহামেডান ফুটবল দল। কোনো কোচ এসেই টিকছেন না, তিনি দেশি হন কিংবা বিদেশি। গত বছর যেমন ভারতের সৈয়দ নইমুদ্দিন অল্প কদিন কাজ করে লিগের মাঝপথে দেশে ফিরে গিয়েছিলেন। এবার মৌসুম শুরুর আগে বাফুফের টেকনিক্যাল ও স্ট্র্যাটেজিক ডিরেক্টর পল স্মলির মাধ্যমে আনা হয় ইংলিশ কোচ ইভান্সকে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে মোহামেডানের দায়িত্ব গ্রহণের পর চিকিৎসার জন্য ইংলিশ কোচ দেশে গেছেন দুবার। ফেডারেশন কাপে মোহামেডানের বিদায়ের পর নভেম্বরের শেষের দিকে ছুটিতে গিয়ে আর ফিরছেন না তিনি।
৪ জানুয়ারি ঢাকায় ফেরার কথা ছিল তাঁর। ফিরবেন কীভাবে, ক্লাব কর্তৃপক্ষ যে ফেরার ব্যবস্থাই করেনি। চুক্তি অনুযায়ী ঢাকা-লন্ডন আসা-যাওয়ার টিকিট পাওয়ার কথা তাঁর। এদিকে বেতনও বকেয়া দুই মাসের। এই বেতন হাতে চান। ক্লাবের সঙ্গে নিজে থেকে যোগাযোগ করেও কোনো সদুত্তর পাননি। ব্যাপারটা মোটেও ভালো লাগছে না তাঁর। মোহামেডান যদি তাঁকে রাখতে না চায়, তাহলে পাওনা বেতনটা পরিশোধ করে দিক! সে কারণেই ফিফার আদালতে যাওয়ার দিন গুনছেন ক্রিস, ‘আমার দুই মাসের বেতন পাওনা রয়েছে। বলা হয়েছিল ঢাকায় ফেরার পর দেওয়া হবে। কিন্তু তারা আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করছে না। ফলে আমি বাধ্য হচ্ছি ফিফার আদালতে যাওয়ার জন্য।’
মোহামেডান কর্মকর্তাদের ওপরও একরাশ ক্ষোভ ৪৪ বছর বয়সী এই ইংলিশ, ‘তারা আমার অসুস্থতার সময় কোনো সহযোগিতাই করেননি। প্রতিনিয়ত তারা মিথ্যে বলে। আমি আমার জীবনে এমন খারাপ মানুষদের কখনোই দেখেনি।’
তবে কোচের এমন দাবি উড়িয়ে দিলেন মোহামেডান ম্যানেজার আমীরুল ইসলাম বাবু। বরং কোচকে নিজে দেশের সেরা হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন বলে জানালেন, ‘আমি নিজে কোচকে অ্যাপলো হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলাম। পরে তিনি দেশে যান। টাকা বকেয়ার ব্যাপারটিও মিথ্যা। ছুটিতে যাওয়ার সময় এক মাসের বেতন তিনি নিয়ে গিয়েছেন।’ এর আগে মোহামেডানকে বিশ হাজার ডলার বেতন বকেয়া থাকায় রাখার জন্য কাঠগড়ায় তুলেছিলেন তাঁদের সাবেক নাইজেরিয়ান কোচ এমেকা ইজিউগো। শেষ পর্যন্ত সুদসহ সেটি পরিশোধে বাধ্য হয়েছিল ক্লাব।
এভাবেই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে মোহামেডান, ঐতিহ্য হারানো দলটি ভালো করতে পারছে না মাঠের লড়াইয়ে। এ মৌসুমে প্রথম দুটি টুর্নামেন্টেই (ফেডারেশন কাপ ও স্বাধীনতা কাপ) গ্রুপ থেকে বিদায় নিয়েছে তারা। মোহামেডানের ইতিহাসে টানা দুটি টুর্নামেন্টের গ্রুপ থেকে বিদায় এই প্রথম। জানুয়ারির মাঝামাঝি শুরু হতে যাওয়া প্রিমিয়ার লিগেও বড় আশা নেই সাদা-কালোদের। টিকে থাকাই মনে হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ।
মোহামেডানের কোচ সংক্রান্ত আরও খবর জানতে :-