মেয়েদের ফুটবলও দিল দুঃসংবাদ
>তাজিকিস্তানে চলমান এএফসি অনূর্ধ্ব ১৯ বাছাইপর্বে চায়নিজ তাইপের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ
মেয়েদের ফুটবলে সুখের সংসারে হঠাৎই ছন্দপতন। যে মেয়েদের দলের পাশে এত দিন লেখা হয়েছে বড় ব্যবধানে জয়, তারাই টানা দ্বিতীয় ম্যাচে নাস্তানাবুদ। তাজিকিস্তানে চলমান এএফসি অনূর্ধ্ব ১৯ মেয়েদের বাছাইপর্বে আজ চায়নিজ তাইপের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। আজ দুই অর্ধে দুই গোল হজম করা বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে হেরেছিল ৭-০ গোলে। ফলে টানা দুই হারে চূড়ান্ত পর্বের লড়াই থেকে ছিটকে পড়ল লাল-সবুজরা।
গ্রুপে দক্ষিণ কোরিয়া থাকায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা বাদ দিয়ে সেরা রানার্সআপ হওয়ার আশায় বাছাইপর্বের লড়াইয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। ফলে লক্ষ্য ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে কম গোলের ব্যবধানে হার এবং বাকি দুই প্রতিপক্ষ চায়নিজ তাইপে ও তাজিকিস্তানের বিপক্ষে বড় জয়। সে আশায় গুঁড়েবালি। ফলে রবিবার তাজিকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচটা এখন শুধুই নিয়ম রক্ষার।
অথচ আজ জয়ের জন্যই নেমেছিল গোলাম রব্বানি ছোটনের শিষ্যরা। কারণ ২০১৬ সালে ঢাকায় এএফসি অনূর্ধ্ব ১৬ বাছাইপর্বে এই চায়নিজ তাইপেকেই ৪-২ গোলে হারিয়েছিল সিরাত জাহান স্বপ্না, সানজিদা খাতুনরা। দুই বছরের ব্যবধানে স্বপ্নারা যেমন অনূর্ধ্ব ১৯ পর্যায়ে এসেছে, চায়নিজ তাইপের মেয়েরাও তো তাই। কিন্তু আজ পাত্তাই পেল না লাল-সবুজরা। অথচ পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েই বাছাইপর্বে নেমেছিল বাংলাদেশ।
দক্ষিণ এশিয়ার বয়সভিত্তিক নারী ফুটবলে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়। এই তো কিছুদিন আগেই নেপালকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব ১৮ চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা ঘরে তুলেছে মিসরাত জাহান, তহুরারা। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দলগুলোর বিপক্ষেও মুড়ি মুড়কির মতো গোল করে বাংলাদেশের মেয়েরা। বাদ যায় না মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোও। কিন্তু নারী ফুটবলে নিয়মিত খেলুড়ে দেশগুলোর বিপক্ষে এখনো কুলিয়ে উঠতে পারছে না বাংলাদেশ।