মেসির '৫০' এমএসএন-ত্রয়ীর '১০০'
ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয় লিগ শিরোপার সম্ভাবনা জাগিয়ে রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও বার্সা কিন্তু এই জয়টা অন্যভাবেই উদ্যাপন করছে। এই ম্যাচেই যে বার্সেলোনার বিখ্যাত ‘এমএসএন’–ত্রয়ী তাঁদের গোলের ‘সেঞ্চুরি’ পূর্ণ করেছেন।
বার্সেলোনার হয়ে লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ ও নেইমার—এই তিন তারকার সম্মিলিত গোল এখন ১০২। ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে জয়টি বার্সেলোনাকে কিছুক্ষণের জন্য লিগের শীর্ষ তুলে দিলেও রিয়াল গ্রানাডাকে ৪-০ গোল উড়িয়ে দিয়ে পয়েন্ট তালিকায় আবারও সমতায় ফিরিয়েছে। ২১ মিনিটে মেসির একটি শট প্রতিহত হলে ফিরতি বলে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন নেইমার।
৩২ মিনিটে অবশ্য ভিয়ারিয়াল সমতা ফিরিয়েছিল। মৌসুমজুড়ে দুর্দান্ত খেলা স্ট্রাইকার সেডরিক বাকাম্বু জেরার্ড পিকেকে বোকা বানিয়ে গোল করে বার্সেলোনা সমর্থকদের উৎকণ্ঠা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। বাকাম্বুর আনন্দ অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি, বিরতির ঠিক আগে দিয়ে মৌসুমে মেসির ৫০তম গোল আবারও এগিয়ে দেয় বার্সেলোনাকে। গোলটি অবশ্য কিছুটা ভাগ্যের ছোঁয়ায় পাওয়া। শটটি জালে প্রবেশ করে ভিয়ারিয়ালের এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে। এই গোলটির মাধ্যমেই অবশ্য ‘এমএসএন’–ত্রয়ীর শততম গোল পূর্ণ হয়।
৬০ মিনিটে বার্সেলোনার জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন লুইস সুয়ারেজ। সার্জি রবার্তোর পাস থেকে গোল করেন এই উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। এটি লিগে তাঁর ২৭তম গোল। ৮২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে বার্সেলোনার চতুর্থ গোল করেন মেসি।
বার্সেলোনা আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারত। স্কোরলাইনে যখন সমতা, ঠিক তখনই মেসির একটি দারুণ ক্রসের সুযোগ নিতে ব্যর্থ হন পিকে। এর পরপরই সুয়ারেজের পাস থেকে বল ধরে পোস্টের ওপর দিয়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন নেইমার।
ভিয়ারিয়ালও একটি সুযোগ হারায়। রবার্তো সোলদাদোর হেড বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। তবে ৮২ মিনিটে প্রাপ্ত পেনাল্টিটি নিয়ে ভিয়ারিয়ালের কিছুটা আপত্তি থাকতেই পারে। নেইমারের শটটি বক্সের মধ্য কোস্তার হাতে লাগলেও রেফারির সিদ্ধান্তটা ছিল একটু কঠোরই। তবে এর আগে নেইমারের প্রচেষ্টাটা কিন্তু ছিল দেখার মতোই।
ম্যাচে নিশ্চিতভাবেই সেরা খেলোয়াড় ছিলেন নেইমার। মেসি জোড়া গোল করলেও আলোটা কিন্তু পুরোপুরিই নিজের দিকে নিয়ে গেছেন ব্রাজিলীয় তারকা। ম্যাচ শেষে বার্সেলোনা কোচ লুইস এনরিকের কণ্ঠেও ছিল নেইমারের প্রশংসা, ‘আজ নেইমার যে খেলাটা খেলেছে, সেটি যেকোনো ফুটবলপ্রেমীর কাছেই প্রশংসা পাবে। নেইমারের ড্রিবলিংগুলো যেন ছিল ব্যালে নাচ। অসাধারণ। ড্রিবলিংগুলো ছিল কার্যকর এবং দুর্দান্ত।’
ম্যাচটি জিতে অবশ্য প্রার্থনাতেই থাকতে হচ্ছে বার্সেলানা সমর্থকদের। প্রার্থনা রিয়াল যেন হেরে যায় বাকি যেকোনো একটি ম্যাচে। রিয়ালের একটি হারই যে নিশ্চিত করে দেবে লা লিগায় বার্সার হ্যাটট্রিক-শিরোপা। সূত্র: এএফপি, রয়টার্স।