মেসির চুক্তি নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যেই মামলার মুখে বার্সা

ম্যাথিয়াস ফার্নান্দেজের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে বার্সেলোনা।ফাইল ছবি: বার্সেলোনা

বার্সেলোনার পক্ষ থেকে সরাসরি কেউ স্বীকার করছে না। বলা হচ্ছে, লিওনেল মেসির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের বিষয়টি শুধুই সময়ের ব্যাপার।

বার্সার পক্ষ থেকে আবার এ কথাও বলা হচ্ছে, লা লিগার বেঁধে দেওয়া আর্থিক ব্যয়–সংগতি নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মেসির চুক্তি নবায়ন করতে হবে। অর্থাৎ দেনার দায়ে জড়িয়ে পড়া বার্সা বেতন বাবদ এত দিন যে পরিমাণ অর্থ খরচ করেছে, তা কমিয়ে আনতে হবে।

বোঝাই যাচ্ছে, মেসির চুক্তি নবায়ন যত সহজ ভাবা হচ্ছিল, বিষয়টি মোটেও তত সহজ নয়। এর মধ্যেই নতুন ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তে যাচ্ছে কাতালান ক্লাবটি।

অনৈতিকভাবে চুক্তি বাতিলের অভিযোগ তুলে বার্সার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদেরই সাবেক ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ম্যাথিয়াস ফার্নান্দেজ।

এরিক আবিদাল গত বছর ৩১ জানুয়ারি পালমেইরাস থেকে ম্যাথিয়াসকে ৭ মিলিয়ন ইউরোয় কিনে এনেছিলেন বার্সা। এই দলবদলের কয়েক ঘণ্টা পরই রিয়াল ভায়োদোলিদের কাছে ম্যাথিয়াসকে ধারে পাঠায় বার্সা।

চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যাথিয়াসকে বদলি মাঠে নামিয়েছিল বার্সা।
ফাইল ছবি: এএফপি

২৩ বছর বয়সী এ সেন্ট্রাল মিডফিল্ডারকে বার্সা কেনায় তখন অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। বিশেষজ্ঞদের মতামত ছিল, বার্সায় খেলার মতো মানসম্পন্ন নয় ম্যাথিয়াস। আর তাঁকে নিজেদের খেলোয়াড় হিসেবে বার্সাও কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করেনি।

গত বছর নভেম্বরে চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সার হয়ে ১৭ মিনিট মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছিলেন ম্যাথিয়াস। আর কখনোই বার্সার হয়ে মাঠে নামতে পারেননি। এ বছর জুন মাস শেষ হওয়ার আগের দিনে (২৯ জুন) তাঁর চুক্তি বাতিল করে বার্সা।

রেডিও বার্সেলোনা জানিয়েছে, বার্সার এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি ম্যাথিয়াস। বিষয়টি তিনি আদালত পর্যন্ত টেনে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যেভাবে তাঁর চুক্তি বাতিল করা হয়েছে, তা অনৈতিক বলে মনে করছেন ম্যাথিয়াস এবং তাঁর প্রতিনিধি দল।

ম্যাথিয়াসকে কিনতে আগ্রহী ছিল বেশ কিছু ক্লাব, এমন দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু বার্সার পক্ষ থেকে দাবিটা সব সময়ই প্রত্যাখান করা হয়েছে।

এদিকে মেসির চুক্তি নবায়ন নিয়েও ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে বার্সাকে। মেম্ফিস ডিপাই, সের্হিও আগুয়েরো, এরিক গার্সিয়া ও এমারসনকে নিয়ে আসার পরও বার্সা তাঁদের নতুন খেলোয়াড় হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে পারছে না।

কারণ, তাতে লা লিগা কর্তৃপক্ষ বেতনের যে সীমা বেঁধে দিয়েছে, তা লঙ্ঘন হয়। এমনকি কনরাদ লা ফুয়েন্তে, জ্যাঁ তোদিবো ও জুনিয়র ফিরপোকে বেচে দেওয়ার পরও বার্সার বেতনের সীমা নামিয়ে আনতে হবে ২০ কোটি ইউরোয়।

এই বেতনসীমা খেলোয়াড়, স্টাফসহ সব কর্মকর্তা–কর্মচারী মিলিয়ে। সে ক্ষেত্রে চুক্তি নবায়নে মেসির বেতনসীমা অবশ্যই কমাতে হবে এবং মেসি তাতে রাজি হবেন কি না, সেটাই বড় প্রশ্ন। সব মিলিয়ে দলবদল ও চুক্তির মাঠে বেশ কঠিন সময়ই যাচ্ছে বার্সার।