মেসির জন্যই স্মরণীয় হয়ে থাকল তাঁর মাঠে নামা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই বোঝা গেছে অধীর অপেক্ষায় ছিলেন সবাই। ‘পিএসজির ম্যাচের লিংক...’—চেয়ে পোস্ট করেছেন অনেকেই। কাল রাতের লগ্নটা ছিল একদম আলাদা।
লিওনেল মেসিকে নিয়ে বেশির ভাগ ফুটবল সমর্থক কখনো যে দৃশ্য কল্পনাও করেননি, সেটাই দেখতে হয়—এই প্রথম বার্সেলোনার বাইরে অন্য কোনো ক্লাবের জার্সিতে মাঠে নামবেন মেসি। গোটা ফুটবল–বিশ্বের চোখ ছিল তাই পিএসজি–রেঁস ম্যাচে। এতে লাভ হয়েছে আন্দের এরেরার।
ম্যাচ ছিল রেঁসের মাঠে। মেসি পিএসজির বেঞ্চে বসে থাকতেই তাঁর নামে হর্ষধ্বনি করেছেন রেঁস সমর্থকেরা। দেখে মনেই হয়নি পিএসজি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে গিয়েছে! ‘মেসি, মেসি’ চিৎকারে মাঠ প্রকম্পিত করেন রেঁস সমর্থকেরা।
অবশেষে ম্যাচের ৬৬ মিনিটে কাটে অপেক্ষা। নেইমারের বদলি হিসেবে মেসিকে মাঠে নামান পিএসজি কোচ মরিসিও পচেত্তিনো। বদলি হিসেবে জোড়া খেলোয়াড় মাঠে নামিয়েছেন পচেত্তিনো। মেসির সঙ্গে বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছেন এরেরাও। জর্জিনিও ভাইনালডমের বদলি হিসেবে তাঁকে মাঠে নামানো হয়।
মেসি মাঠে নামার সময় রেঁস সমর্থকদের তুমুল করতালিতে সিক্ত হন। তাঁকে নিয়ে সবার তুমুল আগ্রহ অবশ্য আগেই টের পাওয়া গেছে। এই ম্যাচে টিকিট প্রথমে মাত্র ৬ হাজার বিক্রি হয়েছিল। মেসি পিএওসজিতে নাম লেখানোর পর টিকিট বিক্রি হয়েছে আরও ২০ হাজার! কাল মেসির নাম ধরে চিৎকার করেছেন সবাই।
স্বাভাবিকভাবেই মেসির সঙ্গে বদলি হিসেবে মাঠে নামায় সমর্থকদের করতালি পুরোপুরি উপভোগ করেছেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার এরেরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মজা করে তাই লিখেছেন, ‘বদলি হয়ে মাঠে নেমে কখনো এত অভিবাদন পাইনি।’
রেঁসের স্টেডিয়ামে পিএসজির বাস ঢোকার সময়ই হইহুল্লোড় শুরু করেন স্বাগতিক সমর্থকেরা। মেসি বাস থেকে নামার সময় তাঁর নাম ধরে চিৎকার করেন তাঁরা।
আর্জেন্টাইন তারকাকে বরণ করে নেওয়া হলেও নেইমার দুয়োর শিকার হন। মেসি মাঠে নামার সময়ও দূর থেকে মুঠোফোনে ছবি তোলার চেষ্টা করেন অনেকে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে পর্যাপ্ত জায়গা পাননি সংবাদকর্মীরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইন জানিয়েছে, ১২০ জন সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন, অনেকেই জায়গা পাননি বসার।
লিগ আঁতে কোনো তারকাকে নিয়ে শেষবার এমন কাড়াকাড়ি পড়েছিল ২০১৩ সালে পিএসজির হয়ে ডেভিড বেকহামের দ্বিতীয় ম্যাচে। সে ম্যাচে ১–০ গোলে জিতেছিল রেঁস। কাল অবশ্য মেসির অভিষেক রাঙিয়ে দেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তাঁর জোড়া গোলে রেঁসকে ২–০ গোলে হারায় পিএসজি।