মেসি-নেইমারদের সঙ্গী হতে এলেন রোনালদোদের সতীর্থ
মেসি, এমবাপ্পে, নেইমার।
অন্তত কাগজে-কলমে যে পিএসজির আক্রমণভাগ এখন বিশ্বসেরা, তা নিয়ে দ্বিমত করার মানুষ বিশ্বে খুব কমই পাওয়া যাবে। কিন্তু মাঝমাঠ? পিএসজির মাঝমাঠ নিয়ে সেটি বলা যায় না। এক মার্কো ভেরাত্তিই বিশ্বমানের, লিয়ান্দ্রো পারেদেস, জর্জিনিও ভাইনালডম, দানিলো পেরেইরা, ইউলিয়ান ড্র্যাক্সলার কিংবা ইদ্রিগা গে-রা ঠিক সেই মানের নন।
ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় সাফল্য দেখানো পিএসজি ইউরোপীয় আসরে কেন বারবার মুখ থুবড়ে পড়ে, কারণ হিসেবে অনেকেই মানহীন মাঝমাঠের কথাই বলেন।
মাঝমাঠের মান বাড়াতে এবার এক পর্তুগিজের দ্বারস্থ হয়েছে দলটি। এফসি পোর্তো থেকে চার কোটি ইউরোর বিনিময়ে পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ভিতিনিয়াকে দলে ভিড়িয়েছে পিএসজি।
২২ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার সেই ২০১১ সাল থেকে পোর্তোর বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলে খেলে খেলে নিজেকে ঝালাই করেছেন। মাঝে এক মৌসুম ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব উলভারহ্যাম্পটনেও খেলতে গিয়েছিলেন। তবে সেবার লিগে ১৯ ম্যাচ খেলেও তেমন আলো ছড়াতে পারেননি। ফলে উলভসও এই মিডফিল্ডারকে পাকাপাকিভাবে ধরে রাখার চেষ্টা করেনি।
আর সেটাই শাপেবর হয়েছে পোর্তোর জন্য। ভিতিনিয়াদের নিয়েই গত মৌসুমে লিগ শিরোপা জিতেছে পোর্তো।
কোচ সের্হিও কনসেইচ্যাওর ৪-৪-২ ছকে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৭ ম্যাচ খেলেছেন ভিতিনিয়া, চার গোলের পাশাপাশি সহায়তা করেছেন তিন গোলে। পোর্তোর হয়ে কাপও জিতেছেন। উত্তর মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্লে-অফ ফাইনালে অভিষেক হওয়া এই মিডফিল্ডার জাতীয় দলের হয়ে এর মধ্যেই তিনটি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। গত মৌসুম শেষে পর্তুগিজ লিগের সেরা একাদশেও জায়গা পেয়েছিলেন এই ভিতিনিয়া।
পিএসজির হয়ে পাঁচ বছরের চুক্তি করেছেন এই মিডফিল্ডার ২০২৭ সাল পর্যন্ত।