‘মেসি, তুমি জানো বার্সা ছাড়তে পারবে না’
শেষ মুহূর্তে রক্ষা পেয়েছেন হুয়ান লাপোর্তা। বার্সেলোনার নিয়ম অনুযায়ী, সভাপতির আসন অলংকৃত করতে পরের মৌসুমের ১৫ শতাংশ বাজেট নিশ্চিত করতে হবে।
শেষ দিনে তা নিশ্চিতের পর কালই বার্সেলানা সভাপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন লাপোর্তো। স্প্যানিশ এ রাজনীতিবিদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন তারকাকে বুকে টেনে নেন বার্সার নতুন সভাপতি। এরপর ভাষণে মেসির প্রতি আবেগমথিত কিছু কথাও বলেন তিনি।
লাপোর্তা এর আগেও বার্সা সভাপতির পদ সামলেছেন। ২০১০ সালে দায়িত্ব ছাড়েন তিনি। একুশ শতকের প্রথম দশকে বার্সার সোনালি সময়ের অংশ ছিলেন মেসি ও লাপোর্তা। নতুন সভাপতি হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার আগে মেসিকে জড়িয়ে ধরেন ৫৮ বছর বয়সী এ সভাপতি।
কাতালান ক্লাবটি এ মুহূর্তে মেসির থাকা না–থাকা নিয়ে অস্থির সময় পার করছে। চলতি মৌসুম শেষেই বার্সায় মেয়াদ ফুরাবে তাঁর। চুক্তি নবায়ন না করলে মৌসুম শেষে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে যেকোনো ক্লাবে যোগ দিতে পারবেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
বার্সার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করা না–করা নিয়ে এখনো মুখ খোলেননি মেসি। এদিকে লাপোর্তা মেসিকে ধরে রাখতে মরিয়া। দ্বিতীয় মেয়াদে সভাপতি হিসেবে প্রথম ভাষণে সেই ইচ্ছা প্রকাশে কুণ্ঠা করেননি লাপোর্তো।
বার্সা সভাপতির ভাষণে একটা বড় অংশজুড়ে ছিলেন মেসি, ‘প্রথম মেয়াদে বার্সার ইতিহাসে সেরা খেলোয়াড়টি ছিলেন আমাদের সঙ্গে। সংহতি ধরে রাখায় সফল হয়েছিলাম আমরা। বার্সার একতাবোধই এই সংহতি আনতে পারে এবং আমি সবাইকে এ নিয়ে ভাবার আমন্ত্রণ জানাই। আমি এখানে এসেছি সিদ্ধান্ত নিতে, যেমন লিও–কে রাখার চেষ্টা করতে হবে। একটা সুবিধা হলো সে এখনো (বার্সায়) আছে এবং সে নিজেও এটা জানে। (মেসি) তুমি জানো, তোমাকে কতটা স্নেহ করি আমি। তোমাকে এখানে ধরে রাখতে সম্ভাব্য সব রকম চেষ্টাই করব আমরা। লিও, তুমি জানো (বার্সা) ছেড়ে যেতে পারবে না। আমরা ধরে রাখার চেষ্টা করবই। আমরা তোমাকে ভালোবাসি, বার্সেলোনাও তোমাকে ভালোবাসে। এই স্টেডিয়াম (ক্যাম্প ন্যু) কানায় কানায় পূর্ণ থাকলে তুমি যেতে চাইতে না।’
লাপোর্তা মেসিকে ধরে রাখার কথা বলার সময় সভাকক্ষ ফেটে পড়ে করতালিতে।
করোনা মহামারি শুরুর পর আর্থিকভাবে বাজে সময় পার করছে বার্সা। আর্থিক দেনায় আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছে ক্লাবটি। এর মধ্যে মেসিকে আকাশচুম্বী বেতন দিয়ে ধরে রাখার চেষ্টা করা খুব কঠিন কাজ হবে বার্সার নতুন সভাপতির জন্য।
লাপোর্তা মনে করেন, এ জন্য সবার সহযোগিতা লাগবে, ‘আমাদের স্তবসংগীতে আছে, সবাই এক হয়েই আমরা শক্তিশালী। এই কঠিন সময়েই তা করতে হবে। আমরা জানি এটা কীভাবে করতে হবে। মহামারি শেষ হলে আমাদের রাজস্ব আয়ও স্বাভাবিক পথে ফিরবে। সব ঠিক হয়ে যাবে, কারণ আমি ভালো কিছু সহকর্মী পেয়েছি।’
মেসিকে কেনার দৌড়ে বাজারে এখনো পিএসজি ও ম্যানচেষ্টার সিটির নাম ভাসছে। তাঁর পারিশ্রমিক দেওয়ার মতো সামর্থ্য রয়েছে এ দুটি ক্লাবের।