মার্চ থেকে বাজারে পাওয়া যাবে ‘মেসি বার্গার’
‘লো জ্লাতান’-নামটা মনে আছে? ২০১৩ সালে এই নামে বার্গারের প্রচলন করে প্যারিসের এক রেস্তোরাঁ। জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ তখন পিএসজিতে, স্বাভাবিকভাবেই তাঁর প্রতি নৈবেদ্যর প্রকাশ থেকেই বার্গারটি বাজারে ছাড়া হয়।
খেলাধুলায় তারকাদের নামে খাবারের প্রচলন নতুন কিছু নয়। বাস্কেটবল কিংবদন্তি লেব্রন জেমস, স্টিফেন কিংদের নামে বানানো বার্গারে কামড় বসিয়ে বেশ ভালোই স্বাদ পান মার্কিন নাগরিকেরা। আমেরিকান ফুটবল কিংবদন্তি টম ব্র্যাডির নামেও আছে ফাস্ট ফুড। কেমন হয় যদি লিওনেল মেসির নামেও এমন কোনো খাবার পাওয়া যায়?
ইংল্যান্ডের চেইন রেস্তোরাঁ হার্ড রক ইন্টারন্যাশনাল আর্জেন্টাইন তারকার সঙ্গে এর আগে নানা প্রচারণায় কাজ করেছে। ভাবনাটা এই প্রতিষ্ঠানেরই। মেসির নামে বাজারে বার্গার ছাড়তে যাচ্ছে হার্ড রক ইন্টারন্যাশনাল। মার্চ থেকে এ রেস্তোরাঁর সব শাখায় বার্গারটি পাওয়া যাবে। তবে মায়ামি এবং ফ্লোরিডায় এরই মধ্যে ‘মেসি বার্গার’ বিক্রি শুরু করেছে হার্ড রক ইন্টারন্যাশনাল।
পিএসজি তারকা ক্যারিয়ারের শেষটা কাটাতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে-এমন সম্ভাবনা থাকায় হার্ড রক এখনই তাঁর নামে বার্গার বিক্রি করে ভবিষ্যতে আরও দু পয়সা কামানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে কি না কে জানে! এ বছরের প্রথম দিন থেকে মায়ামি ও ফ্লোরিডায় হার্ড রকের শাখা রেস্তোরাঁয় পাওয়া যাচ্ছে ‘মেসি বার্গার।’ ১ মার্চ থেকে তা ছড়িয়ে পড়বে বিশ্বব্যাপী হার্ড রকের সব শাখায়।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’ পিএসজি ফরোয়ার্ডের নামে বানানো বার্গারের দাম জানাতে পারেনি। তবে এই বার্গারের ‘ট্রায়াল’ (পরীক্ষামূলক বিক্রি) চলাকালীন দাম ছিল ১১.৯৫ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ হাজার ৩৩ টাকা)। তবে ‘ফাস্ট ফুড পোস্ট’ জানিয়েছে, বার্গারের সঙ্গে ডিম ভাজি নিলে দাম ২ ডলার বাড়বে এবং এর সঙ্গে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই নিলে অতিরিক্ত আরও ৩.৯৫ ডলার গুনতে হবে। গরুর গোশতের টুকরো, পনির, বিশেষভাবে বানানো রুটি, লেটুস, লাল পেঁয়াজ, টমেটো এবং হার্ড রকের খ্যাতনামা ধোঁয়াটে সসেজ দিয়ে এই বার্গার বানানো হয়।
রেস্তোরাঁটির প্রধান নির্বাহী জন লুকাস সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘বিশ্বের খ্যাতিমান ফুটবল তারকা লিওনেল মেসির সঙ্গে আমাদের জুটি আরও এগিয়ে নেওয়াটা সম্মানের বিষয়। “লিভ গ্রেটনেস” নামে আমরা যে প্রচারণা চালাচ্ছি, সেটাও এই উদ্যোগের মাধ্যমে অন্য এক উচ্চতায় পৌঁছে গেল। হার্ড রকের কিংবদন্তি স্টেক বার্গার এখন তাঁর নামেও পাওয়া যাবে। মার্চে আমরা খাবারটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেব।’